নয়া দিল্লি: ২০১৯-এর তুলনায় ২০২৪-এ সংসদে কমল মহিলা ও মুসলিম সাংসদদের সংখ্যা। এবারের নির্বাচনে মোট ৭৪ জন মহিলা প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। ২০১৯-এ নির্বাচিত হয়েছিলেন ৭৮ জন মহিলা। অর্থাৎ, এবার ৪ জন মহিলা সাংসদ কম পেতে চলেছে লোকসভা। গত বর সংসদে পাস হয়েছিল মহিলা সংরক্ষণ বিল। বিল অনুযায়ী লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভার এক-তৃতীয়াংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা হবে। এই বিল পাসের পর এটাই ছিল প্রথম নির্বাচন। অবশ্য, এই আইন এখনও কার্যকর হয়নি। আর, ২০১৯-এ যেখানে সংসদে মুসলিম সাংসদের সংখ্যা ছিল ২৬, সেখানে এই বছর মুসলিম সাংসদের সংখ্যা সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ২৪-এ। তবে, ২০১৪-র তুলনায় মুসলিম সাংসদের সংখ্যা এবার বেশি রয়েছে। মোদী প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সময়, মুসলিম সাংসদের সংখ্যা ছিল ২৩।
মহিলা সাংসদের সংখ্যা নিয়ে অবশ্য গর্ব করতে পারে বাংলা। সারা দেশের মধ্যে লোকসভায় সবথকে বেশি মহিলা প্রতিনিধি পাঠিয়েছে বাংলাই। ১১ জন মহিলা সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন বাংলা থেকে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, এই বছর মোট ৭৯৭ জন মহিলা প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সর্বাধিক মহিলা প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি, ৬৯ জন। তারপর ছিল কংগ্রেস, ৪১ জন। বিজেপির ৩০ জন মহিলা প্রার্থী এবারের ভোটে জিতেছেন। কংগ্রেস দলের হয়ে জিতেছেন ১৪ জন মহিলা প্রার্থী। এছাড়া, তৃণমূল কংগ্রেসের ১১ জন, সমাজবাদী পার্টির ৪ জন, ডিএমকে-র ৩ জন এবং জেডিইউ ও এলজেপি (আর)-এর ২ জন করে মহিলা প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। সব মিলিয়ে ১৩.৬২ শতাংশ বেশি মহিলা সাংসদ পেতে চলেছে ১৮তম লোকসভা।
অন্যদিকে, ৭৮ জন মুসলিম প্রার্থী এবারের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। গতবারের ভোটে ১১৫ জন মুসলিম প্রার্থী ছিলেন। সর্বোচ্চ সংখ্যক মুসলিম সাংসদ পাঠাচ্ছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের সাতজন মুসলিম প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। এরপর রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের মুসলিম জয়ী প্রার্থীর সংখ্যা পাঁচজন। সমাজবাদ পার্টির চারজন। ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগের তিনজন মুসিম সাংসদ জয়ীা হয়েছেন। জয়ী মুসলিম প্রার্থীদের মধ্যে অসমের ধুবড়ি আসনের রাকিবুল হুসেন সবথেকে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, বদরুদ্দিন আজমলকে তিনি প্রায় ১০ লক্ষ ভোটে হারিয়েছেন।