কোন পথে এগোচ্ছে দেশের শিক্ষার ভবিষ্যৎ? ঠিক করা হবে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ২ দিনের কনফারেন্সে
Vice Chancellors’ Conference: এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। থাকবেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডঃ সুকান্ত মজুমদার।

আহমেদাবাদ: শিক্ষা নীতিতে বড় বদল এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক আয়োজন করছে একটি বড় কনফারেন্সের। সমস্ত কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ভাইস চ্যান্সেলরদের নিয়ে দুইদিনের কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ১০ ও ১১ জুলাই গুজরাটের কেভাদিয়ায় এই কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছে।
এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। থাকবেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডঃ সুকান্ত মজুমদার। এছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রকের একাধিক শীর্ষ আধিকারিকরা যোগ দেবেন এই সম্মেলনে। এটি ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি ২০২০ বা জাতীয় শিক্ষা নীতির অংশ। দেশের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উন্নতি ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা পর্যালোচনা করা হবে।
এই কনফারেন্সে মূলত কয়েকটি দিকো ফোকাস করা হবে। এগুলি হল পড়ানো, গবেষণা ইত্যাদি। এর লক্ষ্য হল কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি জাতীয় শিক্ষা নীতির পরবর্তী পর্যায়ের লক্ষ্যগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না, তা নিশ্চিত করা। পিয়ার লার্নিং এবং জ্ঞান বিনিময়ের লক্ষ্য হল প্রাতিষ্ঠানিক উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা। এই প্রস্তুতির প্রধান লক্ষ্য হল ২০৪৭ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী শিক্ষাগত পরিস্থিতির জন্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে তাল মিলিয়ে প্রস্তুত করা।
কোন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে?
- চার বছরের স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের উপর জোর দিয়ে NHEQF/NCrF বোঝা এবং বাস্তবায়ন।
- কাজের ভবিষ্যৎ- ভবিষ্যতের চাকরির প্রয়োজনীয়তার সাথে কোর্সের সমন্বয়
- ডিজিটাল শিক্ষা- SWAYAM, SWAYAM Plus, AAPAR ক্রেডিট ট্রান্সফারে ফোকাস
- বিশ্ববিদ্যালয় শাসন ব্যবস্থা – সমর্থ
- উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমতা প্রচার – একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ন্যায়সঙ্গত পরিবেশ গড়ে তোলা
- ভারতীয় ভাষা এবং ভারতীয় জ্ঞান ব্যবস্থায় শিক্ষা, ভারতীয় ভাষা বই প্রকল্প
- ANRF, CoE, PMRF সহ গবেষণা এবং উদ্ভাবন
- র্যাঙ্কিং এবং স্বীকৃতি ব্যবস্থা
- ভারতে পড়াশোনার আন্তর্জাতিকীকরণ
কোন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এই প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত থাকবে?
এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রয়েছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, হরিয়ানার কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, অসম বিশ্ববিদ্যালয়, হেমবতী নন্দন বহুগুণা গাড়োয়াল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজস্থানের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, কাশ্মীরের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্বভারতী, জাতীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় উপজাতি বিশ্ববিদ্যালয় (আইজিএনটিইউ), সিকিম বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ), এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় এবং আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়।

