AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Afghan Minister on Journalist Snub: ‘নারীবিদ্বেষী’ তকমা হঠাতে মরিয়া, মহিলা সাংবাদিকদের ‘বাদ’ দেওয়া নিয়ে কী সাফাই তালিবান মন্ত্রীর?

Taliban FM on No Women Journalists: বিতর্কের দানা বাঁধার দিন দুয়েকের মাথায় আরও একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেন তালিবান মন্ত্রী। রবিবার ফের একবার আফগানিস্তানের দূতাবাসে আয়োজিত হয়েছিল এই বৈঠক। যেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয় মহিলা সাংবাদিকদেরও। আর সেই বৈঠকের শুরুতেই প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে হওয়া 'গাফিলতি' নিয়ে সাফাই দিলেন মুত্তাকি।

Afghan Minister on Journalist Snub: 'নারীবিদ্বেষী' তকমা হঠাতে মরিয়া, মহিলা সাংবাদিকদের 'বাদ' দেওয়া নিয়ে কী সাফাই তালিবান মন্ত্রীর?
তালিবান মন্ত্রী আমির খান মুত্তাকিImage Credit: PTI
| Updated on: Oct 12, 2025 | 7:03 PM
Share

নয়াদিল্লি: যান্ত্রিক গোলযোগ। সেই কারণেই মহিলা সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ পাঠানো হয়নি। দিন দুয়েক আগে হওয়া ‘গাফিলতির’ জন্য এই সুরেই রবিবার সাফাই দিলেন আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। প্রযুক্তিগত সমস্যাকেই এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে তুলে ধরলেন তিনি।

কী নিয়ে বিতর্ক?

ছয় দিনের সফরে বৃহস্পতিবার ভারত এসেছেন মুত্তাকি। শুক্রবার সেই সূত্র ধরেই দিল্লিতে বৈঠক ডাকেন তিনি। যা আয়োজিত হয়েছিল দিল্লির আফগানিস্তান দূতাবাসে। বলে রাখা প্রয়োজন, কূটনৈতিক স্তরে কাবুলের সঙ্গে অনেকদিন সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে নয়াদিল্লির। তবে রয়ে গিয়েছে, তালিবান সরকার আসার আগে তৈরি হওয়া সেই আফগানিস্তান দূতাবাস। যেখানে সাংবাদিক বৈঠকে বসেছিলেন মুত্তাকি।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্য়মের দাবি, মহিলা সাংবাদিকদের সেই বৈঠকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এই নিয়ে ইতিমধ্য়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে এডিটরস গিল্ড অব ইন্ডিয়া এবং ভারতীয় মহিলা প্রেস কোর। তালিবান মন্ত্রীর এমন আচরণকে ‘লিঙ্গবৈষম্য’ বলেই উল্লেখ করেছে তারা। কূটনৈতিক সফরে এসে তালিবান মন্ত্রীর এমন আচরণ দেখে আগেভাগেই হাত তুলে নেয় নয়াদিল্লি। কেন্দ্রের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, এতে সরকারের কোনও ভূমিকাই নেই। সাংবাদিকদের তালিকা আফগানিস্তান দূতাবাসে পাঠানো হয়েছিল। সেই ভিত্তিতে তাঁরা একটি তালিকা তৈরি করেছিল।

নতুন সাংবাদিক বৈঠক

বিতর্কের দানা বাঁধার দিন দুয়েকের মাথায় আরও একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেন তালিবান মন্ত্রী। রবিবার ফের একবার আফগানিস্তানের দূতাবাসে আয়োজিত হয়েছিল এই বৈঠক। যেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয় মহিলা সাংবাদিকদেরও। আর সেই বৈঠকের শুরুতেই প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে হওয়া ‘গাফিলতি’ নিয়ে সাফাই দিলেন মুত্তাকি।

তাঁর কথায়, ‘ওই সাংবাদিক বৈঠকটি সংক্ষিপ্ত নোটিসে আয়োজন করা হয়েছিল। তবে এই নয় যে তাতে কোনও মহিলা সাংবাদিকদের ডাকা হয়নি। সেখানেও মহিলা সাংবাদিকদের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু একটি যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ওই সমস্যা তৈরি হয়। এর নেপথ্যে অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।’

তালিবান মানেই ‘নারীবিদ্বেষী’, এই ধারণা ভাঙতেও মরিয়া মুত্তাকি। রবির সাংবাদিক বৈঠক থেকে তালিবান মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা ১ কোটি। যার মধ্য়ে মেয়ের সংখ্যা প্রায় ৩০ লক্ষ। মাদ্রাসাতেও শিক্ষায় কোনও সীমা নেই। একেবারে স্নাতক স্তর পর্যন্ত কেউ নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন। অবশ্য, কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু আমরা কখনওই মেয়েদের শিক্ষাদানকে হারাম বলে মনে করি না।’