NSA Meeting: ভারতের সভাপতিত্বে আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা বৈঠকে ৮ দেশ
Ajit Doval, তালিবানের দখলে আফগানিস্তান আসার পর থেকেই সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ ও মাদক পাচারের সম্ভাবনা পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে এই ধরনে যাবতীয় সমস্যা মোকাবিলা করার উদ্দেশ্যেই এই বৈঠকের আয়োজন করেছে ভারত।
নয়া দিল্লি: আফগানিস্তানের (Afghanistan) মসনদে অধিষ্ঠিত হয়েছে তালিবান (Taliban)। আফগানিস্তানের এই পরিস্থিতি শুধুমাত্র সেই দেশের নাগরিকদের জন্য নয়, বরং প্রতিবেশী দেশ এবং অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ঠ উদ্বেগের। বুধবার, ৮ টি দেশের নিরাপত্তা আধিকারিকদের নিয়ে হওয়া বৈঠকে এমনটাই জানান ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (NSA Ajit Doval)। বুধবার “দিল্লি রিজিওনাল সিকিউরিটি ডায়ালগ অন আফগানিস্তান” (Delhi Regional Security Dialogue on Afghanistan) শীর্ষক বৈঠক আয়োজন করে ভারত। এই বৈঠকে মূলত সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিনতাবাদ প্রসঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। এর পাশাপাশি আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিও এই বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয় গুলির মধ্যে অন্যতম ছিল বলে আগেই জানিয়েছিল বিদেশ মন্ত্রক। এই বৈঠকে ইরান, রাশিয়া, মধ্য এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশ সহ মোট সাতটি দেশের নিরাপত্তা আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন বলেই জানা গিয়েছিল।
এনএসএ অজিত ডোভাল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। উদ্বোধনী ভাষণে ডোভাল জানিয়েছেন, এই সময়ে আফগান পরিস্থিতি নিয়ে আঞ্চলিক দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয়, আলোচনা ও প্রয়োজনে পরস্পরকে সহায়তা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই বৈঠকে ইরান, রাশিয়ার পাশাপাশি তাজাখিস্তান, কির্গিস্তান, কাজ়াখিস্তান, উজবেকিস্থান এবং তুর্কমেনিস্থানের নিরাপত্তা আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
তালিবানের দখলে আফগানিস্তান আসার পর থেকেই সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ ও মাদক পাচারের সম্ভাবনা পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে এই ধরনে যাবতীয় সমস্যা মোকাবিলা করার উদ্দেশ্যেই এই বৈঠকের আয়োজন করেছে ভারত। বৈঠক প্রসঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল বলেন, “আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্যই আমরা আজ মুখোমুখি বসছি। সেদেশের যাবতীয় পরিস্থিতি ওপর আমরা নজর রাখছি। আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সেদেশের নাগরিকদের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলির জন্যও যথেষ্ট উদ্বেগের। এই পরিস্থিতিতে আমদের ক্রমাগত সকলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।” অজিত ডোভালের আশা এই বৈঠক থেকে ইতিবাচক এবং গঠনমূলক সমাধান পাওয়া সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতের তরফে চিন (China) ও পাকিস্তানকেও (Pakistan) এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তাঁরা এই বৈঠকে উপস্থিত না থাকার কথাই জানিয়েছিল। পাকিস্তানের এনএসএ মোইদ ইউসুফ এই মাসের শুরুতে বলেছিলেন যে তিনি এই বৈঠকে যোগ দেবেন না। চিন ভারতকে জানিয়েছে সময় জনিত অসুবিধার কারণে তারা এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, চিন জানিয়েছে আফগানিস্তানের ইস্যু নিয়ে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় তাদের কোনও সমস্যা নেই।