স্ব র্ণে ন্দু দা স
হুটহাট করে আলো জ্বালিয়ে ফেলা, দুদ্দাড় করে জানলা খোলা, পাশের যাত্রীর অসুবিধার কথা বিন্দুমাত্র না ভেবে নিজেদের মধ্যে জোর শব্দে গল্পগুজব, রাত দশটার পর কোনওকিছুই আর চলবে না। রাত দশটা বাজলে ট্রেনযাত্রীদের জন্য থাকছে নানা বিধি। দূরপাল্লার ট্রেনে (Train) যাতায়াত করা রেলযাত্রীদের এবার ‘শিষ্টাচার’ শিক্ষা দেবে ভারতীয় রেল (Indian Railway)।
সম্প্রতি ট্রেনযাত্রীর স্বাচ্ছন্দের দিকে খেয়াল রেখে এবং সর্বোপরি ট্রেনের ভালমন্দ খেয়াল করে বেশ কিছু অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে রেল। রাত দশটা হলে কিছু দায়িত্ব পালন করতে হবে রেলযাত্রীদের। আর তা খেয়াল করবেন, নজরে রাখবেন রেলের সংশ্লিষ্ট আধিকারিক বা কর্মীরা। এই মর্মে রেল বোর্ডের পক্ষ থেকে সব জ়োনের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনই খবর মিলছে রেল সূত্রে।
তা কী নিয়ম আনছে রেল?
দূরপাল্লার ট্রেনে যাতায়াত করা যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে আরো বেশি করে নজর দিতে হবে। এমনই নির্দেশ রেল বোর্ডের। আর তার জন্য যাত্রীদের জন্য একগুচ্ছ শিষ্টাচার লিপি নিয়ে আসছে তারা। যার তদারকিতে থাকবেন রেল আধিকারিক বা কর্মীরা।
কেমন সেই শিষ্টাচার বিধি?
১) রাত দশটার পর দূরপাল্লার ট্রেনে জোরে কথা বলা যাবে না। জ্বালিয়ে রাখা যাবে না আলো। নিজেদের মধ্যে জোরে শব্দে গল্পগুজব করতে পারবেন না যাত্রীরা। সে সব বন্ধ করতে কার্যকরী উদ্যোগ নেবে রেল।
২) এই সব শিষ্টাচার বিধি সম্পর্কে যাত্রীদের অবগত করবেন রেলকর্মীরা। তার পরে এমন ঘটনা হলে সে ক্ষেত্রে রেলকর্মীরা বিনয়ীভাবে বোঝানো হবে। ওই রেল যাত্রীদের আলো জেলে রাখা, জোরে ফোনে কথা বলা, কিংবা গল্প গুজব করা থেকে বিরত থাকতে বলবেন রেলকর্মীরা।
৩) বয়স্ক যাত্রীদের সুবিধার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। ৬০ বছর কিংবা তার থেকে বেশি বয়সী যাত্রীদের দূরপাল্লার ট্রেনে যাতায়াতের সময় সব রকম স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে নজর দিতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন জ়োনের রেল আধিকারিকদের।
৪) এছাড়া শারীরিকভাবে বিশেষভাবে সক্ষম, অসুস্থ যাত্রী কিংবা এককভাবে যাতায়াত করা কোনও মহিলার প্রয়োজনের দিকে নজর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুবিধা-অসুবিধা সবক্ষেত্রে যাতে রেলকর্মীরা নজর দেন তা নিয়ে নির্দেশ থাকছে রেলের। সব মিলিয়ে শীঘ্রই এই একগুচ্ছ শিষ্টাচারবিধি বলবৎ করতে বলা হচ্ছে বলে রেল বোর্ড সূত্রে খবর।