AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Airbus Technical Glitch: ভারতে অচল ২০০-র বেশি বিমান, আগামী কয়েকদিনে অসুবিধায় পড়তে পারেন হাজার-হাজার যাত্রী!

Air India, IndiGo: সূত্রের খবর, ভারতে প্রায় ৫৬০টি এ৩২০ সিরিজের বিমান চলাচল করে। এর মধ্যে প্রায় ২০০ থেকে ২৫০টি বিমানের সফটওয়্যার আপডেট বা হার্ডওয়্যার ঠিক করা দরকার। এই বিপুল সংখ্যক বিমান যদি হঠাৎ না ওড়ে তাহলে পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা করছে বিমান সংস্থাগুলো।

Airbus Technical Glitch: ভারতে অচল ২০০-র বেশি বিমান, আগামী কয়েকদিনে অসুবিধায় পড়তে পারেন হাজার-হাজার যাত্রী!
আপনার বিমান বাতিল হয়নি তো?Image Credit: Getty Images
| Updated on: Nov 29, 2025 | 11:27 AM
Share

২৯ নভেম্বর সকাল সকাল দেশের সিভিল এভিয়েশন সেক্টরে ছড়িয়েছে এক অদ্ভূত আতঙ্ক। বিরাট ধাক্কার মুখে গোটা বিশ্বের বিমান পরিষেবা। আর এর পিছনে ইউরোপীয় বিমান সংস্থা এয়ারবাস। আসলে, এয়ারবাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তীব্র সৌর বিকিরণের কারণে তাদের এ৩২০ সিরিজের বিমানের ফ্লাইট কন্ট্রোল ডেটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর এই খবর সামনে আসার পরই যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে ভারতের প্রধান বিমানসংস্থাগুলো পদক্ষেপ করেছে।

ভারতের প্রধান বিমানসংস্থাগুলো অর্থাৎ; ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া ও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস এক্স মাধ্যমে পোস্ট করে জানিয়েছে তাদের এ৩২০ সিরিজের বিমানে প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ বা আপডেট করার কাজ করছে। আর সেই কারণেই বিমান পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ২০০ থেকে ২৫০টি বিমানে এমন সমস্যা দেখা গিয়েছে। আর সেই কারণে হয়তো আগামী কয়েকদিন এই বিমানগুলো উড়তে পারবে না।

কেন এই সতর্কতা?

সম্প্রতি একটি এ৩২০ সিরিজের বিমান অদ্ভুত ভাবে পিচ-ডাউন হয়। অর্থাৎ উড়তে উড়তে হঠাৎই বিমানের নাক নীচের দিকে নেমে যায়। সাধারণত ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেমে কোনও ত্রুটির কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। এরপর জানা যায়, বিমানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ ELAC বা ইলেভেটর এইলেরন কম্পিউটারে গোলমাল দেখা গিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এভিয়েশন সেফটি এজেন্সি বা EASA অবিলম্বে জরুরি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, প্রভাবিত বিমানগুলির পরবর্তী ফ্লাইটের আগে ELAC ইউনিট পরিবর্তন বা সফটওয়্যার আপডেট করতে হবে।

ভারতের আকাশে কত বিমান প্রভাবিত?

সূত্রের খবর, ভারতে প্রায় ৫৬০টি এ৩২০ সিরিজের বিমান চলাচল করে। এর মধ্যে প্রায় ২০০ থেকে ২৫০টি বিমানের সফটওয়্যার আপডেট বা হার্ডওয়্যার ঠিক করা দরকার। এই বিপুল সংখ্যক বিমান যদি হঠাৎ না ওড়ে তাহলে পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা করছে বিমান সংস্থাগুলো।

কী বলছে বিমান সংস্থাগুলি?

বিমান প্রস্তুতকারক এয়ারবাসের আপডেট পাওয়ার পরই ভারতীয় বিমানসংস্থা ইন্ডিগো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা এই আপডেটের কাজ করছে। সঙ্গে তারা এও জানিয়েছে, এই আপডেটের কাজ চলার কারণে কিছু বিমানের সময়সূচিতে বদল আসতে পারে। এয়ার ইনশিয়াও তাদের এ৩২০ ফ্লিট এই আপডেটের কাজ শুরু করেছে। এর ফলে তারা জানিয়েছে একাধিক বিমানের টার্নঅ্যারাউন্ড টাইম বাড়তে পারে বা অবতরণের পর পরবর্তী উড়ানের জন্য তৈরি হতে যে সময় লাগে, তার চেয়ে বেশি সময় লাগতে পারে। এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসও জানিয়েছে তাদের অধিকাংশ বিমান এই ঘটনায় প্রভাবিত হবে না। কিন্তু তাও তাদের ফ্লিটে যতগুলো এই সিরিজের বিমান রয়েছে তার আপডেটেশনের জন্য কাজ চলছে। আর এর ফলে তাদের কিছু ফ্লাইট বাতিল বা উড়তে বিলম্ব হতে পারে।

ইন্ডিগোর পোস্ট

এয়ার ইন্ডিয়ার পোস্ট

এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের পোস্ট

ঝুঁকি কতটা?

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এভিয়েশন সেফটি এজেন্সি এই বিষয়টি নিয়ে বিমানসংস্থাগুলোর জন্য চরম সতর্কবার্তা দিয়েছে। তারা জানিয়েছে এই ত্রুটি সংশোধিত না হলে বিমানে এটা ‘আনকম্যান্ডেড ইলিভেটর মুভমেন্ট’ তৈরি করতে পারে। অর্থাৎ, পাইলটের কোনও ইনপুট ছাড়া নিজে নিজেই বিমান অঠানামা করতে পারে। আর এর ফলে, বিমানের স্ট্রাকচারাল লিমিট পার করে যেতে পারে। আর এমন হলে সেই বিমানের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হওয়া একপ্রকার নিশ্চিত। এয়ারবাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে তারা এই আপডেটের কাজ শেষ করতে চাইছে। আর তা যদি হয় তাহলে আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকেই বিশ্বব্যাপী বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।