Joint statement : সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ইস্যু করে এক ছাতার তলায় বিরোধীরা! কাঠগড়ায় গেরুয়া বাহিনী
Joint statement : সম্প্রতি রামনবমী উদযাপন ঘিরে দেশ জুড়ে বিক্ষিপ্ত হিংসার ছবি দেখা গিয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করবে এরকম বিষয় থেকে দেশের জনগণকে সচেতন করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি যৌথভাবে বিবৃতি দিয়েছে।
নয়া দিল্লি : সম্প্রতি রামনবমী উদযাপন ঘিরে দেশ জুড়ে বিক্ষিপ্ত হিংসার ছবি দেখা গিয়েছে। গুজরাত, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান সহ দেশের একাধিক রাজ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এই রাম নবমী ঘিরে। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়েও হুলুস্থুল কাণ্ড বাঁধে রামনবমীর দিন মাংস খাওয়া নিয়ে। এই আবহে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এদিন সেই নিয়ে দেশের জনগণকে সচেতন করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি যৌথভাবে বিবৃতি দিয়েছে। নাম না করে পরোক্ষভাবে ভারতীয় জনতা পার্টিকেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। এই বিবৃতিত স্বাক্ষর করেছেন কংগ্রেসের সভাপতি সনিয়া গান্ধী, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির সভাপতি শরদ পাওয়ার, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সিপিএম এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন।
উল্লেখ্য, সম্প্রীতি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা উঠে এসেছে সংবাদ শিরোনামে। উত্তর প্রদেশের সম্প্রীতি একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা এক মহন্তকে লঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করতে শোনা যায়। এবং সম্প্রতি হিজাব বিতর্কে উত্তেজনা ছড়ায় কর্নাটকে। দেশ জুড়ে বিক্ষিপ্ত এই ঘটনায় জনগণকে সচেতন করে এই বিবৃতি প্রকাশ সব রাজনৈতিক দলের। এখানে বলা হয়েছে খাবার, পোশাক, উৎসব এবং ভাষা সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে শাসক শিবির সমাজে মেরুকরণের চেষ্টা করছে। এই হিংসা প্রচারের জন্য শাসক দলের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারকেও নিন্দা করা হয়েছে এই বিবৃতিতে। এইসব হিংসা দমনে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
বিরোধীদের এই বিবৃতির প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেছেন,”এই সাম্প্রদায়িক বাতাবরণ হল এক বিচারধারার ফলাফল। ৭০ বছর ধরে মুসলিম তোষণের রাজনীতি হয়েছে এই বিচারধারায়। ৭০ বছর ধরে তারা দেশে ধর্মের নামে ভাগ বাটোয়ারা করেছে। এবং এই বিচারধারাই ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্ম দিয়েছে।” সম্প্রতি রাজস্থানেও রামনবমী ঘিরে হিংসা দেখা গিয়েছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে তিনি আরও প্রশ্ন তুলেছেন যে, “সনিয়া গান্ধী এবং ফারুক আব্দুল্লাহ কেবল আগুনে ঘি ঢালার কাজ করছেন।” তিনি বলেছেন যে, রাজস্থানে যেখানে হিংসা হচ্ছে তা নিয়ে চুপ কেন আছেন সনিয়া!
প্রসঙ্গত, এই বিবৃতিকে সামনে রেখে এক ছাতার তলায় এসেছে তৃণমূল ও কংগ্রেস। প্রায় সব বিরোধী দলই এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে। সম্প্রতি পাঁচ বিধানসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস এবং কংগ্রেসের মধ্যে জোটের কোনও প্রশ্নও নেই। এহেন পরিস্থিতিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কেন্দ্র করে এক ছাতার তলায় এল কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস। তাহল প্রশ্ন উঠছে, ২৪ এর লক্ষ্যে জোট বাঁধবে বিরোধীরা!
আরও পড়ুন : Chhattisgarh : দেশ জুড়ে ভরাডুবির মধ্যেও ছত্তীসগঢ়ে গড় বাঁচাল কংগ্রেস, বিশাল ব্যবধানে জয় উপনির্বাচনে