AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Parliament Update: বিরোধীদের বিক্ষোভের জের, একদিন আগেই শেষ হতে পারে শীতকালীন অধিবেশন

Parliament to be Adjourned Today: নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই মুলতুবি হয়ে যেতে পারে শীতকালীন অধিবেশন।

Parliament Update: বিরোধীদের বিক্ষোভের জের, একদিন আগেই শেষ হতে পারে শীতকালীন অধিবেশন
সংসদে করোনার হানা। ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Dec 22, 2021 | 10:26 AM
Share

নয়া দিল্লি: বাদল অধিবেশনের মতোই শীতকালীন অধিবেশন (Winter Session of Parliament) জুড়েও বিরোধীদের বিক্ষোভেই উত্তাল থাকল সংসদের দুই সভা। আজও লখিমপুর কাণ্ড (Lakhimpur Kheri Issue) ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতে সরব হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিরোধীদের। এদিকে, গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলি পাশ হয়ে যাওয়ায় আজই অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হতে পারে, এমনটাই সূত্রের খবর।

গত ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। আগামী ২৩ ডিসেম্বর অধিবেশন চলার কথা। কিন্তু একদিন আগেই সেই অধিবেশনে ইতি টানা হতে পারে। এর অন্যতম কারণ হল বিরোধীদের বিক্ষোভ। অধিবেশন শুরুর প্রথম দিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) সাংসদদের উদ্দেশ্য়ে বলেছিলেন, “সরকার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত। আমরা চাই সংসদে আলোচনা হোক, তবে শান্তিও যেন বজায় থাকে। সরকারের বিরুদ্ধে হোক বা সরকারের কোনও সিদ্ধান্ত- প্রশ্ন উঠতেই পারে। তবে সংসদের অধ্যক্ষ ও স্পিকারের সম্মান যাতে রক্ষা হয়, তাও মাথায় রাখতে হবে। আমাদের এমন আচরণ বজায় রাখা উচিত, যা পরবর্তী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।”

তবে প্রধানমন্ত্রীরই বলাই সার, অধিবেশন শুরুর প্রথম দিন থেকেই বিরোধীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে সংসদের দুই কক্ষ। অধিবেশনের প্রথমদিনই লোকসভা ও রাজ্যসভায় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পেশ করা হলে, বিরোধীরা এই বিল নিয়ে আলোচনার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। বাধ্য হয়ে ধ্বনি ভোটের মাধ্যমেই এই বিল পাশ করাতে হয়।

এরপর বাদল অধিবেশনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য রাজ্য়সভার ১২ জন সাংসদকে গোটা শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হলে ফের সুর চড়ায় বিরোধীরা। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু বরখাস্ত হওয়া সাংসদদের ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চাওয়ার প্রস্তাব দিলেও, তারা সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেয় এবং সংসদের বাইরে, গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে। গোটা অধিবেশন জুড়েই বরখাস্ত হওয়া সাংসদরা অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছেন। আজ এই বিক্ষোভে যোগ দেবেন সদ্য সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েনও।

লখিমপুর ইস্যু নিয়েও গত সপ্তাহ থেকেই সরব হয়েছে বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্রের ছেলের নাম লখিমপুর কাণ্ডে জড়ানোয় এবং সম্প্রতিই উত্তর প্রদেশ পুলিশের সিট কমিটির রিপোর্টে লখিমপুরে কৃষকমৃত্যুর ঘটনাকে পূর্ব পরিকল্পিত বলে উল্লেখ করার পরই, বিরোধীরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতে সরব হয়েছেন। গতকাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতে গান্ধীমূর্তির পাদদেশ থেকে বিজয় চক অবধি বিরোধীরা মিছিল বের করে। এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

আজও লোকসভায় কংগ্রেস সাংসদ মণিকাম ঠাকুর লখিমপুর কাণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁর ইস্তফার দাবিতে মুলতুবি প্রস্তাব পেশ করেছেন।  অন্যদিকে, গতকালই রাজ্যসভার রুলবুক ছুঁড়ে ফেলার অভিযোগে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ফলে বিরোধীদের সাসপেন্ড করার বিষয়টিও ফের একবার সংসদের দুই কক্ষে তুলতে পারে বিরোধীরা।

এদিকে, কেন্দ্রের তরফে গুরুত্বপূর্ণ যে বিলগুলি ছিল, তার অধিকাংশই পাশ করানো হয়ে গিয়েছে বিরোধীদের বিক্ষোভের মাঝেও। অধিবেশনের প্রথম দিনেই যেমন কৃষি আইন প্রত্য়াহার বিল পাশ করিয়ে নেওয়া হয়েছে, তেমনই গতকাল রাজ্যসভাতেও নির্বাচনী আইন সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে নেওয়া হয়।

আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিল, যেখানে মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে একাধিক দল বিরোধিতা করায় তা পর্যালোচনার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।