Bharat Jodo Yatra: কড়া সতর্কতা করোনা নিয়ে, আদৌই কি দিল্লিতে ঢুকতে পারবে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা?
Congress: চিনের করোনা পরিস্থিতি দিন-প্রতিদিন যত খারাপ হচ্ছে, ততই উদ্বেগ বাড়ছে কেন্দ্রের। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবারই বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নয়া দিল্লি: ২০০০ কিলোমিটার পার করে রাজধানী দিল্লির প্রায় দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে কংগ্রেসের (Congress) ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra)। আগামিকাল, শনিবারই দিল্লিতে প্রবেশ করার কথা কংগ্রেসের এই বিশাল পদযাত্রার। কিন্তু রাজধানীতে প্রবেশের আগেই তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। চিনের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। দেশেও যেকোনও মুহূর্তেই আছড়ে পড়তে পারে করোনার ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রাকে দিল্লিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। কংগ্রেসের এই বিশাল পদযাত্রায় করোনাবিধি অনুসরণ করা হচ্ছে না, এমনটাই অভিযোগ। চলতি সপ্তাহেই কেন্দ্রের তরফে কংগ্রেসকে চিঠি পাঠিয়েও জানানো হয় যে যথাযথভাবে করোনাবিধি অনুসরণ না করলে ভারত জোড়ো যাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
আগামী ২৪ ডিসেম্বর দিল্লিতে প্রবেশ করবে ভারত জোড়ো যাত্রা। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বেই গত ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয় ভারত জোড়ো যাত্রা। তামিলনাড়ু, কেরল, অন্ধ্র প্রদেশ, তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশ ও রাজস্থান ঘুরে বর্তমানে হরিয়ানার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেসের এই পদযাত্রা। গত ২১ ডিসেম্বরই হরিয়ানায় প্রবেশ করে এই যাত্রা। আজ, শনিবার বিকেলেই ফরিদাবাদে পৌঁছবে কংগ্রেসের পদযাত্রা। সেখান থেকে এনএইচ ১৯ ধরে দিল্লিতে প্রবেশ করবে।
কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে আদৌই দিল্লিতে এত বড় পদযাত্রাকে ঢুকতে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। চিনের করোনা পরিস্থিতি দিন-প্রতিদিন যত খারাপ হচ্ছে, ততই উদ্বেগ বাড়ছে কেন্দ্রের। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবারই বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্য়দিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফেও কংগ্রেসকে চিঠি পাঠানো হয় ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে। কেন্দ্রের তরফে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, “যদি কংগ্রেসের এই জনসংযোগ যাত্রায় করোনাবিধি মেনে চলা সম্ভব না হয়, তাহলে এই যাত্রা বন্ধ করা উচিত।”
.যদিও পাল্টা জবাব দেন রাহুল গান্ধীও। গতকালই তিনি বলেন, “আমায় চিঠি লিখে বলা হচ্ছে যে করোনা বাড়তে পারে, তাই যাত্রা বন্ধ করে দিন। এগুলো সবই অজুহাত। দেশের শক্তি ও সত্যকে দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছে”। কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীও বলেন, “এই চিঠি জনগণকে বিভ্রান্ত করার চক্রান্ত।”
উল্লেখ্য, শনিবার ভারত জোড়ো যাত্রা দিল্লিতে প্রবেশ করার কথা। দিল্লিতে এই যাত্রায় যোগ দিতে পারেন অভিনেতা তথা মক্কাল নিধি মাইয়াম নেতা কমল হাসান, ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝি। এরপরে ৯ দিনের বিরতি নিয়ে আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে ফের যাত্রা শুরু হবে। দিল্লি থেকে পঞ্জাব হয়ে শেষ গন্তব্য জম্মু-কাশ্মীরে পৌঁছবে ভারত জোড়ো যাত্রা।