নয়া দিল্লি: তাঁর চোখে দেখা শ্রেষ্ঠ গণতান্ত্রিক নেতা (Most Democratic Leader) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)-ই, রবিবার এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সংসদ টিভিতে একটি সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন ওঠে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদী স্বৈরাচারী(Dictator), এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কী মত? এর জবাবেই অমিত শাহ বলেন প্রধানমন্ত্রী সম্পূর্ণরূপেই একজন গণতান্ত্রিক নেতা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, “আমার সৌভাগ্য যে আমি বিরোধী দল ও প্রশাসক- দুই পদে থাকাকালীনই মোদীজীর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আমি কখনওই ওনার মতো কোনও শ্রোতা দেখিনি। যে কোনও বিষয়েই বৈঠক হোক না কেন, মোদীজী প্রয়োজন অনুযায়ী অতি সামান্য কথা বলেন এবং বাকি সময় গুরুত্ব দিয়ে সকলের কথা শোনেন। কারোর পদ বিচার করে নয়, উনি সকলেরই মতামতের গুরুত্ব দেন এবং তার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেন। সুতরাং একথা কোনওভাবেই সত্যি নয় যে প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচারী।”
সম্প্রতিই প্রশাসক পদে ২০ বছর পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সুশাসনের প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “মোদীজী সবথেকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্যাবিনেট পরিচালন করেন। বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা যায় না বলে একটা ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী নিজেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেন। এটি সম্পূর্ণ ভুল। উনি যে কোনও বিষয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সকলের সঙ্গে আলোচনা করেন, সিদ্ধান্তের ভাল-খারাপ দুটি দিকই বিচার করেন এবং তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। উনি দেশের প্রধানমন্ত্রী, সুতরাং ওনার অধিকার রয়েছে যে কোনও বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার।”
বিরোধীরা যে নানা ভুয়ো অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় সরকারকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করে, তার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এটা অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় যে যারা বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে, তারা সত্য়ের বিকৃতি ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে।”
বিগত সাত বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর শাসনকালে কেন্দ্র বেশ কিছু সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে, যেমন নোটবন্দি, সংবিধানের ৩৭৯ অনুচ্ছেদ মুছে ফেলে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার থেকে শুরু করে কৃষি আইন। বিরোধী দলগুলি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র সমালোচনা ও আক্রমণ করলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নের কথা ভেবেই ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি বলেন, “দেশকে এগিয়ে রাখার চিন্তাভাবনা নিয়েই প্রধানমন্ত্রী কাজ করেন। তিনি আগেও অনেকবার বলেছেন যে তিনি ক্ষমতায় এসেছেন কেবল সরকার চালাতে না, দেশের পরিবর্তন আনতে। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস- এটাই আমাদের লক্ষ্য।”