AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sengol controversy: ‘কেন এত ঘৃণা কংগ্রেসের?’, ঐতিহাসিক ‘সেঙ্গোল’ নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই গর্জে উঠলেন অমিত শাহ

Amit Shah Hits Back Congress on Sengol controversy: নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন নিয়ে বিতর্ক তো ছিলই। পাশাপাশি নয়া বিতর্ক উসকে উঠেছে সেঙ্গোল (Sengol) নিয়ে। এই বিষয়ে কংগ্রেস প্রশ্ন তুলতেই পাল্টা জবাব দিলেন অমিত শাহ।

Sengol controversy: 'কেন এত ঘৃণা কংগ্রেসের?', ঐতিহাসিক 'সেঙ্গোল' নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই গর্জে উঠলেন অমিত শাহ
ঐতিহাসিক রজদণ্ড সেঙ্গোল
| Edited By: | Updated on: May 26, 2023 | 6:08 PM
Share

নয়া দিল্লি: নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন নিয়ে বিতর্ক তো ছিলই। পাশাপাশি নয়া বিতর্ক উসকে উঠেছে সেঙ্গোল (Sengol) নিয়ে। নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিনই নয়া সংসদ ভবনে ঐতিহাসিক সেঙ্গোল স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। আর এই দিনেই তিনি। লোকসভার অধ্যক্ষের আসনের খুব কাছেই এই ঐতিহাসিক ‘রাজদণ্ড’ স্থাপন করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসেবে এই সেঙ্গোল রাজদণ্ডটি ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। এই দাবি উড়িয়ে কংগ্রেস বলেছে, লর্ড মাউন্টব্যাটেন, সি রাজাগোপালাচারি এবং জওহরলাল নেহরু সেঙ্গোল-কে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন, এর কোনও প্রামাণ্য নথি নেই। শুক্রবার (২৬ মে), এই বিষয়ে কংগ্রেসকে একহাত নিলেন অমিত শাহ। টুইট করে সেঙ্গোল বিরোধিতা নিয়ে কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করলেন তিনি।

এদিন টুইট করে অমিত শাহ বলেছেন, “ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে কংগ্রেস পার্টি কেন এত ঘৃণা করে? তামিলনাড়ুর এক পবিত্র শৈব মঠ থেকে এই সেঙ্গোলটি পণ্ডিত নেহরুকে দেওয়া হয়েছিল ভারতের স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে। কিন্তু, সেটিকে একটি সাধারণ লাঠির মতো যাদুঘরে ফেলে রাখা হয়েছিল। এখন কংগ্রেস ফের লজ্জাজনক অপমান করল (ভারতীয় সংস্কৃতির)। পবিত্র শৈব মঠ তিরুভাদুথুরাই আধিনাম থেকেও ভারতের স্বাধীনতার সময় সেঙ্গোলের গুরুত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে। আধিনামের ইতিহাসকে ফালতু বলছে কংগ্রেস! কংগ্রেসকে তাদের আচরণ নিয়ে ভাবতে হবে।”

এর আগে, কংগ্রেসের মিডিয়া ইনচার্জ জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর পারিষদরা এই রাজদণ্ডটি ব্যবহার করছেন তামিলনাড়ুতে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য। বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্বার্থে তথ্য বদলে দেওয়ার অভিযো করেছিলেন তিনি। জয়রাম রমেশের দাবি, সেঙ্গোলের ইতিহাস নিয়ে কেন্দ্র যা বলছে, তা চেন্নাইয়ের এক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কল্পনাপ্রসূত। তাঁর মতে, চেন্নাইয়ে তৈরি এই রাজদণ্ডটি প্রকৃতপক্ষে ১৯৪৭ সালের অগস্টে জওহরলাল নেহরুকে উপহার দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, “মাউন্টব্যাটেন, রাজাজি এবং নেহেরু এই রাজদণ্ডকে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসাবে বর্ণনা করেছেন এমন কোনও প্রমাণ নেই। এই বিষয়ে সমস্ত দাবিই একেবারে ভুয়ো। এই সকল তথ্য সম্পূর্ণভাবে কিছু মানুষের মন গড়া এবং তা হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন সেটাই সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।”

ঐতিহাসিক এই রাজদণ্ডটি দীর্ঘদিন পর্যন্ত পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্রের সঙ্গে এলাহাবাদ যাদুঘরে রাখা ছিল। ২০২২ সালের ৪ নভেম্বর এটিকে জাতীয় যাদুঘরে স্থানান্তরিত করা হয়। রাজদণ্ডটি ১৬২ সেন্টিমিটার লম্বা এবং সোনালি রঙের। প্রদানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এটিকে অমৃতকালের জাতীয় প্রতীক হিসেবে এটিকে লোকসভায় স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নয়া সংসদ ভবনে অধিনাম মঠের সাধুরা প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাতে সেঙ্গোল রাজদণ্ডটি তুলে দেবেন।