নয়া দিল্লি : পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। সব শিবিরেই চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। রাস্তায় নেমে সভা বা মিছিল করার ক্ষেত্রে রয়েছে বিধি-নিষেধ। তাই ভার্চুয়াল সভা বা অন্য কোনও পন্থা বেছে নিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। এরই মধ্যে করোনা সংক্রমণের কথা বলে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন এক কংগ্রেস নেতা। সেই আবেদনের শুনানিতে কংগ্রেস (Congress) নেতা জগদীশ শর্মাকে কার্যত ধমক দিল দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi High Court)। দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে, সেই যুক্তির উল্লেখ করে এ দিন ওই কংগ্রেস নেতাকে বিচারপতি বলেন, ‘আপনি কি মঙ্গলে বাস করেন?’ পাশাপাশি, দেশে করোনা সংক্রমণ যে কমছে, সে কথাও উল্লেখ করেন বিচারপতি।
কংগ্রেস নেতা জগদীশ শর্মা আবেদন জানিয়েছিলেন, যাতে কোভিডের কথা মাথায় রেখে আপাতত পিছিয়ে দেওয়া হয় পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। সোমবার দিল্লি হাই কোর্টে ছিল সেই মামলার শুনানি। সেই শুনানিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি বিপিন সিং ও যশমীত সিং-এর ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়, ‘এই আবেদনের কোনও গুরুত্ব নেই। দিল্লিতে এখন সংক্রমণ ক্রমশ কমছে। আপনি এই আবেদন তুলে নিন, নাহলে আমরা জরিমানা সহ আবেদন খারিজ করে দেব। এরপরই আবেদনকারীর আইনজীবী আবেদন প্রত্যাহার করেন।’
আবেদনে কংগ্রেস নেতা উল্লেখ করেছিলেন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে দেশে প্রবেশ করেছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। দ্রুত ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। তাই ভোট পিছিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি, তিনি কেন্দ্রের কাছে জানতে চান, তৃতীয় ঢেউয়ের কালে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে কী পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের।
উল্লেখ্য, পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে সশরীরে প্রচারের ক্ষেত্রে ১১ ফেব্রুয়ারি অবধি নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আগামী মাসেই পঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই করোনা আতঙ্কের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারে বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি করেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ধীরে ধীরে সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে কমিশন। তবে সাথে কিছু ছাড়ও দিয়েছে। আজ রাজনৈতিক প্রচার নিয়ে ফের পরিস্থিতি পর্যালোচনা বৈঠক করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তারপরই পূরবর্তী নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন : Uttar Pradesh Assembly Election: ‘স্বপ্ন দেখে তারাই, যারা ঘুমিয়ে থাকে’, অখিলেশকে কটাক্ষ মোদীর