গুলির শব্দ, কাঁদানে গ্যাস, যেন ৬ ঘণ্টার ‘যু্দ্ধ’ চলল অসম-মিজোরাম সীমান্তে

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jul 27, 2021 | 8:08 AM

Mizoram Assam Border Tension: সোমবারের এই সংঘর্ষের ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই।

গুলির শব্দ, কাঁদানে গ্যাস, যেন ৬ ঘণ্টার যু্দ্ধ চলল অসম-মিজোরাম সীমান্তে
সোমবারের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ৬ পুলিশকর্মীর

Follow Us

গুয়াহাটি: হাইওয়ে থেকেও শোনা যাচ্ছে বন্দুকের গুলির শব্দ। এলাকা জুড়ে দেখা যাচ্ছে ধোঁয়া। চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পাথর, উল্টে পড়ে আছে গাড়ি। এলাকার চেহারা বলে দিচ্ছে, যেন যুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। সোমবার অসম-মিজোরাম সীমান্তে এমনই ছবি দেখা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ৬ ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলেছে দুই রাজ্যের পুলিশের। কোলাসিবে অসম ও মিজোরাম সীমান্তে এই সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে অসমের ছয় পুলিশকর্মীর। পুলিশ ও সাধারণ মানুষ সহ আহত হয়েছেন ৫০ জন।

অসম সরকারের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তাদের তরফে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছিল পুলিশ, কিন্তু মিজোরামের পুলিশই পাল্টা হামলা চালায়। সীমান্ত এলাকায় ইতিমধ্যেই সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছে অসম। ওই এলাকায় অসমের রাস্তা ও জঙ্গল নষ্ট করার অভিযোগও তোলা হয়েছে মিজোরাম পুলিশের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, মিজোরামের দাবি, অসম পুলিশ সিআরপিএফ পোস্ট অতিক্রম করে জোর করে তাদের রাজ্যে প্রবেশ করে। মিজোরাম সরকারের দাবি, কোনোভাবেই আলোচনায় রাজি নয় অসম। তাদের পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুঁড়েছে অসমই।

ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় আট কৃষকদের ঘর জ্বালিয়ে দেয় কিছু দুষ্কৃতী। তারপরই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সীমান্তবর্তী ওই এলাকা। মিজোরাম পুলিশের ডিআইজি লালবিয়াকথাঙ্গা খিয়াংলে জানিয়েছেন, ওই আট কৃষকদের ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও সেখানে কেউ ছিলেন না। সেই ঘটনা ঘটে গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ। এই ঘরগুলি অসমের সীমান্তবর্তী গ্রাম ভাইরেংলের কৃষকদের। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তদন্ত চলছে।

অভিযোগ, গত ১১ জুলাই মিজোরামের এক কৃষকের খেত, বাগানও নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়েই অশান্তি শুরু হয়। সীমান্তের দিকে লাঠি নিয়ে ছুটে যায় দুই রাজ্যেরই কিছু লোক। এরপরই সীমান্ত পরিদর্শনে যাওয়া অসম সরকারের একটি টিমের গাড়ি লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোঁড়া হয়। পরপর দুটি বিস্ফোরণ ঘটে সে দিন। আর তারপর থেকে জারি আছে অশান্তি। দিন দুয়েক আগেই উত্তর-পূর্বের সব মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অমিত শাহ। আর তারপরই এই ঘটনা। আরও পড়ুন: ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলির জন্য স্বস্তি! ‘দেউলিয়া’ ঘোষিত হলেন বিজয় মালিয়া

Next Article