Manipur Landslide: মণিপুরের ধসে রাজ্যের ৪ বাসিন্দা সহ মৃত ১৪, নিখোঁজ কমপক্ষে ৬০
Manipur Landslide: জিরিবাম জেলার টুপুল অঞ্চলে রেললাইন পাতার কাজে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য টেরিটোরিয়াল আর্মি নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। আচমকাই ধস নামায় শ্রমিক, জওয়ান ও বহু গ্রামবাসী ভেসে যান। কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ জন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। এরমধ্যে ২৩ জন জওয়ান রয়েছেন।
ইম্ফল: বাড়ছে মণিপুরে ধসে মৃতের সংখ্য়া। বুধবার রাতেই মণিপুরের ননে জেলার টুপুল রেলইয়ার্ডে কাজ চলাকালীনই ভয়াবহ ধস নামে। ওই জায়গাতেই রেললাইন পাতার কাজ চলছিল। ধসে কমপক্ষে ৮ জনের মৃত্যু ও কমপক্ষে ৫০ জন নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খবর মিলেছিল। দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শুরু করা হয় উদ্ধারকাজ শুরু হয়। এদিন সকালে মণিপুরের ডিজিপি জানান, গতকাল যতটা আন্দাজ করা হয়েছিল, তার থেকেও ভয়াবহ আকার নিয়েছে এই ধস। এখনও অবধি ১৪ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। কমপক্ষে ৬০ জন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। ইজেই নদীর গতিপথ আটকে যাওয়ায় আশেপাশের অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গতকাল দুপুর থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। ধসের জেরে যে মাটি ধুয়ে গিয়েছে, তার মধ্য়ে থেকে ২৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও অবধি ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও শ্রমিকরা নিখোঁজ থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কমপক্ষে ৬০ জন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। এরমধ্যে গ্রামবাসী, সেনা জওয়ান, রেলওয়ের কর্মী ও শ্রমিকেরা রয়েছেন।
যাদের দেহ এখনও অবধি উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রাজ্যের চার বাসিন্দাও রয়েছেন। দার্জিলিংয়ের চার বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতদের নাম দিবাকর রাণা, লাদুপ লামা, মিলন তামাঙ এবং ভুপেন রাই।
অন্যদিকে, সেনাবাহিনীর তরফেও বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, “ভারতীয় সেনাবাহিনীর অসম রাইফেলস ও টেরিটোরিয়াল আর্মির বাহিনী উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। লাগাতার বৃষ্টি ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজে সমস্যা হলেও টুরপুল রেলওয়ে স্টেশনের কাছে দিনভরই উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। ভারতীয় রেলওয়ে, এনডিআরএফ, এসডিআরএফও উদ্ধারকাজে সাহায্য করছে।”
জানা গিয়েছে, জিরিবাম জেলার টুপুল অঞ্চলে রেললাইন পাতার কাজে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য টেরিটোরিয়াল আর্মি নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। আচমকাই ধস নামায় শ্রমিক, জওয়ান ও বহু গ্রামবাসী ভেসে যান। কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ জন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। এরমধ্যে ২৩ জন জওয়ান রয়েছেন।
উদ্ধারকারী দলের তরফে জানানো হয়েছে, গতকাল সারারাত ধরেই উদ্ধারকাজ চালানো হয়েছে। মাটি কাটা ও সরানোর জন্য বুলডোজার সহ একাধিক ইঞ্জিনিয়ারিং সরঞ্জাম আনানো হয়েছে। রেল, সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ মিলিতভাবে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
তবে উদ্বেগ বাড়ছে ইজেই নদী নিয়ে। ধসের জেরে নদীর গতিপথ সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। দ্রুত যতি নদীর গতিপথ সাফ না করা হয়, তবে আশেপাশের অঞ্চলে বন্যা হতে পারে।
গতকাল ধসের খবর শুনে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উদ্ধারকাজে কেন্দ্রের তরফে যাবতীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।