Minor Abuse: বাবা, পুলিশ অফিসার মিলে ধর্ষণ করে, মা জোর করে দেহ ব্যবসায় নামিয়েছে! সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব নাবালিকা

Bihar: প্রথম ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, এক ব্যক্তি ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করছে। অপর ভিডিয়ো ওই নাবালিকা বিস্তারিত ভাবে জানাচ্ছে, কে কে তার উপর কী ভাবে অত্যাচার চালিয়েছে।

Minor Abuse: বাবা, পুলিশ অফিসার মিলে ধর্ষণ করে, মা জোর করে দেহ ব্যবসায় নামিয়েছে! সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব নাবালিকা
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 01, 2022 | 6:21 PM

পটনা: ১৫ বছরের এক কিশোরী সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করেছে ২টি ভিডিয়ো। সেই ভিডিয়োর মাধ্যমে সে জানিয়েছে কী ভাবে তার উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে তার পরিবারের লোকেরা। পরিবারের লোকের সহায়তায় অন্য ব্যক্তিরাও তাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ ওই নাবালিকার। প্রথম ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, এক ব্যক্তি ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করছে। অপর ভিডিয়ো ওই নাবালিকা বিস্তারিত ভাবে জানাচ্ছে, কে কে তার উপর কী ভাবে অত্যাচার চালিয়েছে। ওই নাবালিকার বাড়ি বিহারের শমস্তিপুরে। ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছে ওই কিশোরী। তাই বিচার পেতে সোশ্যাল মিডিয়াতেই অভিযোগ করেছে বলে জানিয়েছে সে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা ভিডিয়োয় নাবালিকা জানিয়েছেন, তার বাবা, মা এবং কাকা তাকে দেহ ব্যবসা করতে জোর করে। তারা টাকা নিয়ে বিভিন্ন জনের সঙ্গে থাকতে বাধ্য করে, ওই ব্যক্তিরা তাকে ধর্ষণ। এ ভাবে বেশ কয়েক জন তাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ কিশোরীর। মা টাকা নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিদের ঘরে ঢুকিয়ে দরজা আটকে দেয় বলে অভিযোগ। এমনকি বাধা দেওয়ায় নিজের বাবার হাতেও একাধিক বার তাকে ধর্ষিত হতে হয়েছে বলে অভিযোগ। দেহ ব্যবসায় রাজি না হলে তাকে খুন করার হুমকিও বাবা-মা দিয়েছে বলে অভিযোগ।

ভিডিয়োয় ওই অত্যাচারিতা নাবালিকা জানিয়েছে, এক বার তাদের বাড়িতে পুলিশ হানা দিয়েছিল। কিন্তু পুলিশকে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করিয়ে দেয় তার বাবা-মা। এমনকি হাসানপুর থানার সাব ইনস্পেক্টর মনোজ কুমার প্রায়ই তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ তার। এর জেরে পুলিশের উপরও আস্থা নেই বলে ভিডিয়োয় জানিয়েছেন অত্যাচারিতা নাবালিকা। আশা হারিয়া সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সুবিচার চেয়েছে সে।

সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গোটা ঘটনার কথা সামনে আসতেই নড়ে চড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। নাবালিকার অভিযুক্ত মা-বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে মহিলা থানার তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। পাশাপাশি হাসানপুর থানার অভিযুক্ত সাব ইনস্পেক্টরের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হবে বলে জানানো হয়েছে। ওই অফিসার এখন ছুটিতে রয়েছে। কাজে যোগ দিলেই তাঁর নামে দায়ের হবে অভিযোগ।