Maharashtra: গদি হয়েছে হাতছাড়া! শিন্ডেকে বিপাকে ফেলতে নয়া পদক্ষেপ উদ্ধবদের, সাফল্য মিলবে?
Maharashtra: শিন্ডে শিবির বিজেপির সাহায্য নিয়ে সরকার তৈরি করতে সফল হলেও আসল লড়াই বালাসাহেব ঠাকরের তৈরি করা শিবসেনার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখা নিয়ে লড়াই।
নয়া দিল্লি: মুখ্যমন্ত্রী পদে একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) শপথ মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) তৈরি হওয়া রাজনৈতিক সংকটের সাময়িক যবনিকা পতন হয়েছে বলে মনে হলেও অস্থিরতা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। মহারাষ্ট্রের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) কাছে এক আবেদনে জানিয়েছেন, বিদ্রোহী সেনা বিধায়কদের বিধানসভা অধিবেশনে যেন অংশ নিতে নিষেধ করা হয়। নতুন আবেদনে শীর্ষ আদালতকে উদ্ধব শিবির জানিয়েছে, “যে সকল বিধায়করা বিজেপির নির্দেশমতো কাজ করে চলেছেন, তারা এই ভাবে দলত্যাগ করে সাংবিধানিক পাপ করেছেন। বিধানসভার সদস্য হিসেবে তাদের আর একদিনও কাজ চালিয়ে যেতে দেওয়া অপরাধ হবে। এই অন্যায্য কাজ চিরস্থায়ী হতে দেওয়া অনুচিত হবে।”
উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণার পর সোমবারই মহারাষ্ট্র বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারের কাছে একনাথ শিন্ডে শিবিরের ১৬ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ করার আবেদন জানিয়েছিল উদ্ধব শিবির। সেই সময়ই বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন একনাথ শিন্ডেরা। শীর্ষ আদালতকে তারা জানিয়েছিল বিধানসভার সদস্যপদ থেকে তাদের বরখাস্ত করে দেওয়া অনৈতিক হবে। আগামী সোমবার এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হবে। উদ্ধব শিবিরের আইনজীবী কপিল সিব্বল সুপ্রিম কোর্টকে বলেন “অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা হিসেবে ১৬ বিদ্রোহী বিধায়ককে বরখাস্ত করুন। বিধানসভার যে কোনও কার্যকলাপ থেকে তাদের অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখুন।”
শিন্ডে শিবির বিজেপির সাহায্য নিয়ে সরকার তৈরি করতে সফল হলেও আসল লড়াই বালাসাহেব ঠাকরের তৈরি করা শিবসেনার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখা নিয়ে লড়াই। সেই দিক থেকে সোমবার মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে অত্যন্ত ‘হাই ভোল্টেজ’ দিন হতে চলেছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট যদি কোনওভাবে শিন্ডে-সহ বিদ্রোহী বিধায়কদের বিপক্ষে রায় দেয়, তবে নতুন করে আবার সংকট পরিস্থিতি তৈরি হবে। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের রায় শিন্ডে শিবিরের পক্ষে গেলে শিবসেনার রাশ উদ্ধবের হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। উদ্ধবের বাবার প্রতিষ্ঠিত দল যদি একনাথের হাতে চলে যায়, তবে তা ভারতীয় রাজনীতিতে নতুন নজির তৈরি করবে। এখন আগামী দিনে নতুন করে সংকট তৈরি হয় কি না, সেটাই এখন দেখার।