Sonia Gandhi: বাংলাদেশি সাংবাদিকের নিশানায় সনিয়া গান্ধী! এফআইআর কংগ্রেসের

Sep 02, 2024 | 9:16 PM

Sonia Gandhi Bangladesh: বাংলাদেশি সাংবাদিকের নিশানায় লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং তাঁর মা তথা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী, সনিয়া গান্ধী! এই দুই কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে জাল খবর এবং ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন বাংলাদেশি সাংবাদিক সালাহুদ্দিন শোয়েব চৌধুরী বলে অভিযোগ।

Sonia Gandhi: বাংলাদেশি সাংবাদিকের নিশানায় সনিয়া গান্ধী! এফআইআর কংগ্রেসের
সনিয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ বাংলাদেশি সাংবাদিক সালাহুদ্দিন শোয়েব চৌধুরী
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

বেঙ্গালুরু: বাংলাদেশি সাংবাদিকের নিশানায় লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং তাঁর মা তথা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী, সনিয়া গান্ধী! এই দুই কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে জাল খবর এবং ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন বাংলাদেশি সাংবাদিক সালাহুদ্দিন শোয়েব চৌধুরী বলে অভিযোগ। ওই বাংলাদেশি সাংবাদিক এক ভারতীয় নিউজ পোর্টালে লেখা এক নিবন্ধে দাবি করেছেন, এক বিদেশী গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে যোগ আছে সনিয়া গান্ধীর। সালাউদ্দিন শোয়েব চৌধুরীর এই পোস্টটি আবার ওই নিউজ পোর্টালের এক্স হ্যান্ডেলে রিপোস্ট করেছিলেন নিউজ পোর্টালটির এক মহিলা কর্মী। এই প্রেক্ষিতে, ওই বাংলাদেশি সাংবাদিক ও অদিতি নামে ওই নিউজ পোর্টালের কর্মীর বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরু পুলিশ একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে।

জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে বেঙঅগালুরুর হাই গ্রাউন্ডস থানায় অভিযোগ করেন কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্য শ্রীনিবাস জি। তাঁর অভিযোগ, জনসাধারণের মধ্যে গান্ধী পরিবারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই এই সকল অবাস্তব দাবি করেছেন ওই বাংলাদেশি সাংবাদিক। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা তৈরি করার লক্ষ্যেই তিনি এই জাতীয় পোস্ট শেয়ার করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। শ্রীনিবাস জি-এর দাবি, বাংলাদেশি সাংবাদিক লিখেছেন, সনিয়া গান্ধী এবং তাঁর ছেলে রাহুল গান্ধী এক বিদেশি গুপ্তচর সংস্থার আন্ডারকভার এজেন্ট।

এই বিষয়ে এক পদস্থ পুলিশ কর্তা বলেছেন, “আমরা যে অভিযোগ পেয়েছি তার ভিত্তিতে, আমরা গান্ধী পরিবার সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে দুজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছি। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৯৬ নম্বর ধারা (ধর্ম, জাতি, স্থানের ভিত্তিতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা প্রচার) এবং ৩৫৩ (২) নম্বর ধারা (ধর্মের ভিত্তিতে ঘৃণা সৃষ্টি করার জন্য মিথ্যা তথ্য প্রকাশ বা প্রচার করা)-র অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, এই বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে এবং সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সক্ষতা রয়েছে গান্ধী-নেহরু পরিবারের। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবুর রহমানের আহ্বানে, তৎক্ষণাৎ পাক সেনার বিরুদ্ধে লড়ার জন্য ভারতীয় সেনা পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। আবার মুজিব হত্যার পর, শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানাকে নয়া দিল্লিতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। এই বন্ধুত্ব, ক্ষমতায় থাকা না থাকার উপর নির্ভর নয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভারতে শেষ সফরেও হাসিনা দেখা করেছিলেন রাহুল ও সনিয়ার সঙ্গে।

Next Article