Bangladesh National Security Adviser: দিল্লিতে বসে হুঁশিয়ারি? অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ নয়! ডোভালের সামনেই বললেন ইউনূসের উপদেষ্টা
Khalilur Rahman in Delhi: এটা কি ভারতকে হুঁশিয়ারি? সম্প্রতি বাংলাদেশের ট্রাইবুনালে মৃত্যুদণ্ডের সাজা পেয়েছেন সেদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রায়দানের দিনই নয়াদিল্লিকে হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বার্তা দিয়েছে ঢাকা। আর এই আবহে দিল্লিতে এসে খলিলুর রহমানের এই বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন একাংশ।

নয়াদিল্লি: রাজধানী আয়োজিত হয়েছে কলম্বো সিকিউকিটি কনক্লেভ বা সিএসসি। আর তাতে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। ভারতের জাতীয় উপদেষ্টা অজিত ডোভালের আমন্ত্রণেই দিল্লিতে এসেছেন তিনি। তারপর বৃহস্পতিবার যোগ দিয়েছেন সিএসসি-তে। এই নিরাপত্তা সম্মেলন থেকেই পারস্পরিক আস্থা, সহযোগিতাকে নিশ্চিত করার বার্তা দিয়েছেন খলিলুর রহমান। পাশাপাশি বলেছেন, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করারও।
এটা কি ভারতকে হুঁশিয়ারি? সম্প্রতি বাংলাদেশের ট্রাইবুনালে মৃত্যুদণ্ডের সাজা পেয়েছেন সেদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রায়দানের দিনই নয়াদিল্লিকে হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বার্তা দিয়েছে ঢাকা। আর এই আবহে দিল্লিতে এসে খলিলুর রহমানের এই বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন একাংশ।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সময়-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদিন খলিলুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরের একটি উপকূলীয় রাষ্ট্র হিসাবে ভারত মহাসাগরে স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি আমাদের পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়। বৈশ্বিক জিডিপি, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং কৌশলগত প্রভাব। এই সব ক্ষেত্রেই ভারত মহাসাগরীয় এলাকার সম্মিলিত অংশীদারিত্ব আমাদের আকাঙ্ক্ষা ও সমষ্টিগত দৃষ্টিভঙ্গিকে গড়ে তোলে।’
বাংলাদেশে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার কথায়, এই দৃষ্টিভঙ্গিতেই তাঁরা বিশ্বাসী। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশের কাছে সমুদ্র অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা মেনে নিয়েছেন খলিলুর। তাই সমুদ্রকে কাজে লাগিয়ে বেআইনি কার্যকলাপ, সন্ত্রাসবাদ রুখতে তৎপর বাংলাদেশ। খলিলুরের দাবি, এই নিয়ে তাঁদের পন্থা খুব সহজ, তা হল ‘জিরো টলারেন্স’।
উল্লেখ্য, সিএসসি-তে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের এটি সপ্তম সম্মেলন। যা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকেই। আলোচনার বিষয় ভারত মহাসাগর এবং তার নিরাপত্তা ও শান্তিরক্ষার প্রতি পারিপার্শ্বিক দেশগুলির অবদান। এদিন বক্তৃতা পর্বে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল বলেন, ‘এই অংশে শান্তি-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সদস্যরাষ্ট্রগুলিরই। আর আগামীতেও যেন কোনও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি না তৈরি হয়, সেই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে আমাদেরই।’
