Ram Phir Laute: ‘রাম ফির লটে’, হেমন্ত শর্মার বইয়ে রাম মন্দিরের জন্য আন্দোলন, অযোধ্যার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য
শনিবার ‘রাম ফির লটে’ শীর্ষক বইয়ের উদ্বোধন হয়েছে নয়াদিল্লির আম্বেদকর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে। বইটি লিখেছেন টিভি৯ ভারতবর্ষের নিউজ ডিরেক্টর হেমন্ত শর্মা। বইটি প্রকাশিত হয়েছে প্রভাত প্রকাশন থেকে। এই বই উদ্বোধন উপলক্ষে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট অলোক কুমার, আরএসএস-এর সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে এবং স্বামী জ্ঞানানন্দজি মহারাজের মতো ব্যক্তিত্বরা।
নয়াদিল্লি: আগামী বছর জানুয়ারি মাসে উদ্বোধন হবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের। তার আগে রামকে নিয়ে বইয়ের উদ্বোধন হল। শনিবার ‘রাম ফির লটে’ শীর্ষক বইয়ের উদ্বোধন হয়েছে নয়াদিল্লির আম্বেদকর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে। বইটি লিখেছেন টিভি৯ ভারতবর্ষের নিউজ ডিরেক্টর হেমন্ত শর্মা। বইটি প্রকাশিত হয়েছে প্রভাত প্রকাশন থেকে। এই বই উদ্বোধন উপলক্ষে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট অলোক কুমার, আরএসএস-এর সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে এবং স্বামী জ্ঞানানন্দজি মহারাজের মতো ব্যক্তিত্বরা। এই বইয়ে রামের চরিত্র, রামমন্দির গড়ার পিছনে আন্দোলন, অযোধ্যার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরেছেন লেখক হেমন্ত শর্মা।
বই প্রকাশ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট অলোক কুমার। রামমন্দির গড়ার বিষয়ে তিনি বলেছেন, “৫০০ বছরের অপেক্ষা, ২০-২৫ প্রজন্মের লড়াইয়ের পর ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের উদ্বোধন হবে। নিজের জন্মস্থানে রামলালা পবিত্র গর্ভগৃহে স্থাপিত হবেন।” রামলালা স্থাপনের ওই অনুষ্ঠান টিভিতে বসে না দেখে স্থানীয় মন্দিরে গিয়ে উদযাপনের পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। ওই দিন বিশ্বের প্রায় ৫ লক্ষ মন্দিরে রামমন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে আরতির ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
স্বামী জ্ঞানানন্দজি মহারাজ বলেছেন, “রাম আমাদের বিশ্বাস। রাম আমাদের পূজ্য। রাম আমাদের ঐতিহ্য। রাম আমাদের পরিচিতি। রাম আমাদের আত্মসম্মান। রামের বিষয় যতই বলি না কেন, তাও তা কম হয়ে যায়। রাম আমাদের সকলের মধ্যে রয়েছেন।” রামের বনবাস পর্বে অযোধ্যায় যে শূন্যতা তৈরি হয়েছিল, সে কথাও এ দিন উঠে এসেছে মহারাজের কথায়। রামায়ণে রামের বনবাস সংক্রান্ত একটি কাহিনির বর্ণনাও এ দিন দিয়েছেন তিনি।
আরএসএস-এর সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে বলেছেন, “রাম পবিত্র। রাম অনুপ্রেরণা। যেখানে জঙ্গল ও মানুষ আছে, সেখানে রাম আছেন। যেখানে ভাল জীবনযাত্রা রয়েছে, সেখানে রাম রয়েছেন। কেবল পর্যটনের জন্য রামমন্দির তৈরি হয়নি। অযোধ্যা মানে গণতন্ত্র। রাম সংবিধান আইন এবং শৃঙ্খলার ধারকবাহক।”