Extra Marital Affair: বাড়ির অমতে বিয়ে, প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুন স্ত্রীর
Murder Case: ২১ অক্টোবর রাতে সুরি চন্দ্রশেখরের বাড়িতে হাজির হন এবং চন্দ্রশেখরের উপর হামলার পরিকল্পনা করেন। বাড়ির বারান্দার শ্বেতা এবং সুরি ছুরি, লোহার রড নিয়ে হামলা চালান চন্দ্রশেখরের উপর।
বেঙ্গালুরু: প্রেমিকের সহযোগিতায় স্বামীকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। স্বামীকে খুন করার অভিযোগে ২১ বছরের ওই যুবতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর প্রেমিকের খোঁজ চলছে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের ইয়েলাহাঙ্কায়।
স্বামীকে খুনে অভিযুক্ত ওই যুবতীর নাম শ্বেতা। তিনি ইয়েলাহাঙ্কার বাসিন্দা। তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল অন্ধ্রপ্রদেশের পেনুকোন্দার বাসিন্দা মুরলি সুরির। কিন্তু সেই সম্পর্কে রাজি ছিলেন না শ্বেতার বাড়ির লোক। তাঁরা জোর করে চন্দ্রশেখর নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দেন ২০১৯ সালে বিয়ে হয় তাঁদের। চন্দ্রশেখর ছিলেন তাঁর মায়ের ছোট ছেলে। কিন্তু এই বিয়ের পরও নিজের প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন শ্বেতা। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে মতানৈক্যও হয়েছিল।
চন্দ্রশেখর এবং শ্বেতার সম্পর্কের যখন অবনতি হচ্ছে, তখন পরিস্থিতির সামাল দিতে শ্বেতার বাবা শিবাপ্পা চন্দ্রশেখর এবং শ্বেতার সঙ্গে থাকা শুরু করেন। সে সময়ই শ্বেতা সুরির সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য চন্দ্রশেখরকে খুনের পরিকল্পনা করেন। সেই পরিকল্পনার অঙ্গ হিসাবেই অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে সুরি কর্নাটকে শ্বেতার কাছে আসেন।
২১ অক্টোবর রাতে সুরি চন্দ্রশেখরের বাড়িতে হাজির হন এবং চন্দ্রশেখরের উপর হামলার পরিকল্পনা করেন। বাড়ির বারান্দার শ্বেতা এবং সুরি ছুরি, লোহার রড নিয়ে হামলা চালান চন্দ্রশেখরের উপর। লোহার রডে করে মাথায় মেরে ছুরি দিয়ে আঘাত কের খুন করেন চন্দ্রশেখরকে। খুনের পরই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান সুরি। শ্বেতা সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকেন। তখন শ্বেতার বাবা বারান্দায় ছুটে আসেন। এসে দেখেন চন্দ্রশেখরের দেহ রক্তে ভেসে যাচ্ছে।
শ্বেতার বাবা শিবাপ্পার অভিযোগের ভিত্তিতে ইয়ালহাঙ্কা থানার পুলিশ অভিযোগ দায়ের করে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। পুলিশ শ্বেতাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে। সে সময়ই শ্বেতার সঙ্গে সুরির প্রেমের কথা সামনে আসে। পুলিশি জেরার মুখে খুনের কথাও স্বীকার করেন নেয় শ্বেতা। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর প্রেমিকের খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।