গুরুগ্রাম: অভিনব নিয়ম চালু করতে চলেছে হরিয়ানা সরকার। শনিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর (Chief Minister Manohar Lal Khattar ) জানিয়েছেন, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে রাজ্যের সব সরকারি স্কুলে গীতা পাঠ শেখানো শুরু হবে। কুরুক্ষেত্রে গীতী মহোৎসব চলাকালীন এই নিজের এই ভাবনার কথা প্রকাশ করেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী। ওই অনুষ্ঠানে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাও উপস্থিত ছিলেন।
গীতা জ্ঞান সংস্থানম এবং কুরুক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক গীতা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীও। সেখানে তিনি জানিয়েছে, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে পঞ্চম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত থাকবে গীতা। খট্টর বলেন দেশের যুবসমাজের উচিৎ গীতার নির্যাস নিজেদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করা। গীতা শুধুমাত্র অর্জুনের জন্য নয়, আমাদের সকলের জন্যই সমান গুরুত্বের।
খট্টর জানিয়েছেন যে বার্ষিক আন্তর্জাতিক গীতা মহোৎসবের পরিসর বাড়ানোর জন্য, আগামী বছর থেকে একটি গীতা জয়ন্তী কমিটি গঠন করা হবে। তিনি বলেন, জ্যোতিসারের ‘গীতাস্থলী’-তে দুই একর জমিতে ২০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি মহাভারত থেকে অনুপ্রাণিত জাদুঘর তৈরি করা হচ্ছে। এই ভবনে শ্রীমদ ভগবদ্গীতা, পৌরাণিক সরস্বতী নদী এবং বৈদিক সভ্যতা মাল্টিমিডিয়া সিস্টেমের মাধ্যমে চিত্রিত করা হবে, এমটাই জানিয়েছেন খট্টর।
তিনি বলেন, রামলীলার আদলে আগামী বছর থেকে আন্তর্জাতিক গীতা মহোৎসবের সময়ও কৃষ্ণ উৎসবের আয়োজন করা হবে। ছয় দিনব্যাপী এই উৎসবে ভগবান কৃষ্ণের জীবন সম্পর্কিত বিভিন্ন ঘটনা ছকের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে, পাশাপাশি লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শোয়ের আয়োজনও থাকবে বলে জানান তিনি। মনোহর লাল খট্টর মনে করেন, ভগবদ্গীতা ছিল দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অনুপ্রেরণার উৎস।