অভিযোজিত করোনাভাইরাস রুখতেও সক্ষম কোভ্যাক্সিন, দাবি বায়োটেকের

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Jan 27, 2021 | 5:25 PM

এখনও অবধি ভারতে ১৫০ জন এই অভিযোজিত ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তবে কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

অভিযোজিত করোনাভাইরাস রুখতেও সক্ষম কোভ্যাক্সিন, দাবি বায়োটেকের
ফাইল চিত্র

Follow Us

নয়া দিল্লি: করোনা টিকা কতটা কার্যকর, তা নিয়ে দেশবাসীর মনে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, তারই মাঝে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech)-র তরফে জানানো হল, তাদের প্রস্তুত কোভ্যাকসিন (Covaxin) করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন রুখতেও সক্ষম। বুধবার সংস্থার তরফে একটি টুই করে বিষয়টি জানানো হয়।

আজ সংস্থার তরফে একটি টুইটে বলা হয়, “কোভ্যাক্সিন ব্রিটেনের করোনা স্ট্রেইন রুখতেও কার্যকর। এরফলে অভিযোজিত ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কম হবে”। কেবল দাবি নয়, তার সপক্ষে প্রমাণ হিসাবে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজি (National Institute of Virology)-র গবেষণা পত্রের লিঙ্কও শেয়ার করা হয়।  যদিও এই রিপোর্ট এখনও খতিয়ে দেখা হয়নি।

গত ডিসেম্বরে ব্রিটেনে ধরা পড়া করোনা ভাইরাসের অভিযোজিত এই রূপ (New Strain of COVID-19) ৭৫ শতাংশ অধিক সংক্রামক বলে দাবি করা হয়েছে। ব্রিটিশ গবেষকদের মতে, এই অভিযোজিত ভাইরাসে মৃত্যুর সম্ভাবনাও অধিক। এখনও অবধি ভারতে ১৫০ জন এই অভিযোজিত ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তবে কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

আরও পড়ুন: লালকেল্লার ঘটনায় ‘অস্বস্তি’তে আন্দোলনকারী কৃষকরা, সামাল দিতে তিন সীমান্তেই সাংবাদিক বৈঠক

গত সপ্তাহেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson) বলেন, “অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি এই অভিযোজিত ভাইরাসে মৃত্যুহারও বৃদ্ধি পেয়েছে।” ব্রিটিশ সরকারের প্রধান গবেষক প্যাট্রিক ভ্যালান্স জানান, অভিযোজিত করোনা ভাইরাসের কারণে মৃত্যুহার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ অবধি বৃদ্ধি পেতে পারে। যদিও কোন বয়সীদের ক্ষেত্রে মৃত্যুহার বেশি, তা এখনও জানা যায়নি।

ভারত বায়োটেকের তৈরি এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদন পেলেও ভ্যাকসিনটির এখনও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। অনুমোদনকারী সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, জরুরীভিত্তিতে প্রয়োগের জন্যই এই ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের এই পর্যায়ে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

অন্যদিকে, ভারত বায়োটেক সংস্থার তরফেও টিকাগ্রহণকারীদের একটি সম্মতিপত্রে সাক্ষর করানো হচ্ছে টিকা নেওয়ার আগে। এছাড়াও কারা এই ভ্য়াকসিন নিতে পারবেন, সেই সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।

এদিকে ট্রায়াল প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ছাড়পত্র পাওয়ায় জনসাধারণের মনে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। প্রথম দফায় স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম সারির যোদ্ধাদের বিনামূল্যে টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হলেও অনেকেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ে টিকা নিতে অস্বীকার করেছেন।

আরও পড়ুন: ‘বাড়ি ফিরে যান’ আন্দোলনকারীদের অনুরোধ হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর, রাজ্যে জারি হাই অ্যালার্ট

Next Article