Edible Oil : ভোজ্য তেলের জোগানে বড়সড় ঘাটতি, চলতি মাসের শেষ থেকে হু হু করে বাড়তে পারে দাম

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Apr 23, 2022 | 2:46 PM

ইন্দোনেশিয়া যদি রপ্তানি বন্ধ করে দেয় তবে প্রতিমাসে ভারতে ৪ মিলিয়ন টন পাম ওয়েলের ঘাটতি দেখা যাবে। যা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ।

Edible Oil : ভোজ্য তেলের জোগানে বড়সড় ঘাটতি, চলতি মাসের শেষ থেকে হু হু করে বাড়তে পারে দাম
ছবি- ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বাড়ছে আশঙ্কা

Follow Us

নয়া দিল্লি : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine war) জেরে মূল্যবৃদ্ধি নাগপাশে জর্জরিত গোটা বিশ্ব। হু হু করে দাম বেড়েছে পেট্রোপণ্যের। প্রভাব পড়ছে ভারতেও। পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও লাগামছাড়া ভাবে বাড়ছে। এমতাবস্থায় এবার ভোজ্য তেলের(edible oil) দাম নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আবহেই আবার ইতিমধ্যে ২৮ এপ্রিল থেকে ইন্দোনেশিয়া(Indonesia) ভোজ্য তেলের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। গোটা বিশ্বের পাম তেল প্রস্তুতকারক দেশের মধ্যে শীর্ষ তালিকায় রয়েছে এই দেশ। তাতে ভারত সহ একাধিক দেশে ভোজ্য তেলে বড়সড় ঘাটতি দেখতে পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করে হচ্ছে।

সূত্রের খবর, বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার দেশীয় বাজারে ভোজ্য তেলের দাম আকাশছোঁয়া। এমনকি জোগান ও চাহিদার মধ্যেও তৈরি হয়েছে বড়সড় ঘাটতি। এই পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের চাহিদা মেটাতে রপ্তানি বন্ধ করা ছাড়া তাদের হাতে আর কোনও উপায় নেই বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এদিকে ইন্দোনেশিয়া থেকে সবথেকে বেশি পাম ওয়েল আমদানি করে থাকে ভারত ও চিন। যা গোটা বিশ্বের মোট পাম ওয়েল আমদানির প্রায় অর্ধেক। তবে সাধারণত বাঙালি বাড়িতে পাম ওয়েলে রান্নার বিশেষ চাহিদা না থাকলেও ব্যবসায়িক পরিসরে এর ব্যবহার ব্যাপক। বাণিজ্যিক ভাবে রান্নার কাজ থেকে শুরু করে প্রসাধনী এবং জৈব জ্বালানীতে ব্যবহৃত হয়। বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত এই উদ্ভিজ্জ তেল বিস্কুট, মার্জারিন, লন্ড্রি ডিটারজেন্ট এবং চকোলেট সহ অনেক পণ্য তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়।

ইউক্রেন সঙ্কটের জেরে সূর্যমুখী ফুল থেকে যে তেল তৈরি হয় তার রপ্তানিও বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। যার জেরে গোটা বিশ্বেই ভোজ্য তেলের দাম এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়েছে। এরমধ্যে ইন্দোনেশিয়া যদি রপ্তানি বন্ধ করে দেয় তবে প্রতিমাসে ভারতে ৪ মিলিয়ন টন পাম ওয়েলের ঘাটতি দেখা যাবে।

এদিকে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি ভারতের পাইকারি বাজারে মূল্যস্ফীতির হারও গত মাস থেকে হু হু করে বাড়ছে। ভারতে পাইকারি মূল্য-ভিত্তিক মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে যেখানে ছিল ১৩.১১ শতাংশ তা মার্চে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪.৫৫ শতাংশে। তাতে ঘুম উড়েছে মধ্যবিত্তের। এদিকে গত বছর মার্চে যেখানে ১ লিটার প্যাকেজড সরষের তেলের দাম ১১৩ টাকার আশেপাশে ছিল তা এক বছরের ব্যবধানে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা। এবার এই বিশালাকার ঘাটতি তৈরি হলে নতুন দাম কোথায় দাঁড়ায় সেটাই দেখার।

আরও পড়ুন- কেন পার্সোনাল লোনের থেকে বেশি সুবিধা পাওয়া যায় গোল্ড লোনে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

Next Article
Nitish Kumar: বিজেপি-জেডিইউর সোনার সংসারে ভাঙন? মুখোমুখি তেজস্বী-নীতীশ, রাজনৈতিক সমীকরণ বদলের জল্পনা
Tamil Nadu Assault Case: যৌন লালসার শিকার! ধর্ষণের পর গর্ভবতী ১৭ বছরের নাবালিকা, গ্রেফতার ১২ বছরের কিশোর