Rahul Gandhi: ইভিএম সুরক্ষিত থাকলেও যে কোনও দলকে ভোটে জেতাতে পারে সোশ্যাল মিডিয়া: রাহুল গান্ধী

Rahul Gandhi on Social Media: বুধবার (১৬ নভেম্বর) ভারত জোড়ো যাত্রার অংশ হিসেবে মহারাষ্ট্রের বাশিমে এক জনসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেছেন, ইভিএম যদি সুরক্ষিতও থাকে, সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করেই ভোটে কারচুপি করা সম্ভব।

Rahul Gandhi: ইভিএম সুরক্ষিত থাকলেও যে কোনও দলকে ভোটে জেতাতে পারে সোশ্যাল মিডিয়া: রাহুল গান্ধী
ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে সাংবাদক সম্মেলনে রাহুল গান্ধী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 17, 2022 | 6:05 PM

মুম্বই: সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করেই ভোটে কারচুপি করা সম্ভব। বুধবার ভারত জোড়ো যাত্রার অংশ হিসেবে মহারাষ্ট্রের বাশিমে এক জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার গিয়ে এমনটাই দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি জানিয়েছেন, বড় আকাররের সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলি চাইলে যে কোনও দলকেই নির্বাচনে জয়ী করতে পারে। কোনও দলের নাম না করেই তিনি আরও বলেছেন, একটি নির্দিষ্ট আদর্শ এবং তার নেতারা সোশ্যাল মিডিয়ায় সাম্প্রদায়িক হিংসাকে সামাজির সম্প্রীতি নষ্টের হাতিয়ার করে তুলেছে।

বুধবার মহারাষ্ট্রের বাশিমে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সহ্গে সাক্ষাৎ করেন রাহুল গান্ধী। ওয়ানাড়ের সাংসদ বলেন, “যদি ইভিএম সুরক্ষিতও থাকে, তাহলেও ভারতের নির্বাচনগুলিতে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কারচুপি করা যায়। যদি বড়মাপের সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলি চায় যে কোনও দলকে কোনও নির্বাচনে জিতিয়ে দিতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পদ্ধতিগতভাবে পক্ষপাত করা হচ্ছে। আমার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলিই এর জ্বলন্ত উদাহরণ।”

বস্তুত, এর আগেও তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে কারচুপি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই তিনি দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারে চাপে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়ারের সংখ্যা চেপে দেওয়া হচ্ছে। তৎকালীন টুইটার সিইও পরাগ আগরওয়ালকে এই বিষয়ে একটি চিঠিও দিয়েছিলেন রাহুল। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ফলোয়ার ছিল এবং প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ হাজার নতুন ফলোয়ার যুক্ত হত। কিন্তু, ২০২১ সালের অগস্ট থেকে ছবিটা আচমকা বদলে যায় বলে দাবি করেছিলেন রাহুল।

তিনি লিখেছিলেন, “তারপর অদ্ভুত ঘটনা ঘটছিল। ২০২১ সালের অগস্ট থেকে, আমার টুইটার ফলোয়ারদের গড় সংখ্যা প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে। একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে আমার টুইটার অ্যাকাউন্টটি পঙ্গু হয়ে গিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।” রাহুল দাবি করেছিলেন, দলিত কন্যাকে ধর্ষণের ঘটনা, কৃষক আন্দোলন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনাগুলি সম্পর্কে টুইট করার পরই তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে এই অদ্ভুত পরিবর্তন এসেছিল। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের অগস্টে, এক টুইট পোস্টে ধর্ষণের শিকার এক দলিত কন্যার পারিবারিক পরিচয় প্রকাশ করেছিলেন রাহুল গান্ধী। যার জেরে এক সপ্তাহের জন্য তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট লক করে দেওয়া হয়েছিল।