নয়া দিল্লি: আদিবাসীর সংখ্যা কমছে ঝাড়খণ্ডে! জনসংখ্যার নিরিখে ক্রমশ বাড়ছে সংখ্যালঘুদের উপস্থিতি! সংসদে এমনই অভিযোগ তুললেন ঝাড়খণ্ডে গোড্ডার বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। এদিন তিনি তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, ‘সংবিধান সঙ্কটে।’ তাঁর দাবি, ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করে হিন্দু মহিলাদের বিয়ে করছেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। এই পরিস্থিতিতে বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস। কেন্দ্রীয় সরকার যাতে ব্যবস্থা নেয়, সেই দাবি জানিয়েছেন তিনি।
লোকসভার অধিবেশনে বাজেট নিয়ে চলছে আলোচনা। সেই অধিবেশনেই ঝাড়খণ্ডের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন নিশিকান্ত। তিনি বলেন, “যখন বিহারের থেকে ঝাড়খণ্ড আলাদা হয়, তখন ওই রাজ্যে আদিবাসী ছিল ৩৬ শতাংশ। আর বর্তমানে সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ২৬ শতাংশ।” তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, বাকি ১০ শতাংশ আদিবাসী কোথায় গেল? তাঁর অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডের সরকার অর্থাৎ ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেসের জোটের সে ব্যাপারে কোনও গুরুত্বই দিচ্ছে না।
সাংসদের অভিযোগ, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করার ফলেই কমছে আদিবাসীর সংখ্য়া। তিনি বলেন, “আদিবাসী মহিলাদের বিয়ে করছে অনুপ্রবেশকারীরা। এটা হিন্দু-মুসলিমের প্রশ্ন নয়। যে প্রার্থী আদিবাসী হিসেবে ভোটে লড়ছেন, সেই মহিলার স্বামীও মুসলিম।”
তথ্য ও পরিসংখ্যান তুলে ধরে সাংসদ বলেন, “সব জায়গায় ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ ভোটার বাড়ে। আর আমার লোকসভা অঞ্চলে বেড়েছে প্রায় ১২৩ শতাংশ। একটি বিধানসভায় ১১৭ শতাংশ মুসলিমের বসবাস বেড়েছে।” পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এনআরসি লাগু করার দাবি জানান তিনি।
এই প্রসঙ্গে বাংলার তৃণমূল সরকারের দিকেও আঙুল তুলেছেন নিশিকান্ত দুবে। তিনি দাবি করেন, মালদহ ও মুর্শিদাবাদ থেকে পুলিশ ঝাড়খণ্ডে গিয়ে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করছে, অথচ ঝাড়খণ্ডের পুলিশ কিছুই করতে পারছে না।