নয়া দিল্লি : রবিবাসরীয় সকালে রাজধানীতে বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপি। আগামিকাল দিল্লির এনডিএমসি কনভেনশন সেন্টারে সকাল ১০ টায় বসছে বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠক। ভার্চুয়াল এই বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। থাকার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডারও।
ভারতীয় রাজনীতিতে আগামী দিনগুলির কথা মাথায় রাখলে, এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। বিশেষ করে মাস ছয়েক বাদেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। আর সেই তালিকায় রয়েছে উত্তর প্রদেশের ভোটও। আর উত্তর প্রদেশের নির্বাচনে যে দল শেষ হাসি হাসবে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সেই দল অবশ্যই দিল্লির মসনদ দখলের লড়াইয়ে এক পা এগিয়ে থাকবে।
এই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন প্রতিটি দলের জন্যই লিটমাস টেস্ট হতে চলেছে। আর সেদিক থেকে বিজেপি অবশ্যই চাইবে, নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করে নিতে। আগামিকালের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে সেই হিসেব নিকেশ করা হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। একইসঙ্গে নির্বাচনী রণকৌশল এবং লড়াইয়ের নীল নকশা সব নিয়েই আলোচনা হতে পারে বৈঠকে।
যে পাঁচ রাজ্যে ভোট রয়েছে, তার মধ্যে উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া এবং মণিপুরে বিজেপির সরকার রয়েছে। অন্যদিকে পঞ্জাব একমাত্র কংগ্রেস শাসিত রাজ্য। ২০২২ সালের শেষের দিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নিজের রাজ্য গুজরাট এবং হিমাচল প্রদেশ সহ বিজেপি শাসিত আরও দুটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে।
১৩ টি রাজ্যে তিনটি লোকসভা এবং ২৯ টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনে দলের মিশ্র ফলাফলও আগামিকালের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস হিমাচল প্রদেশে একেবারে ক্লিন সুইপ দিয়েছে। মান্ডি আসন এবং তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে জিতে নিয়েছে কংগ্রেস।
এর পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গের উপনির্বাচনে বঙ্গ বিজেপির ভরাডুবিও জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে। বিশেষ করে মাসখানেকের মধ্যে কীভাবে এতটা খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, তা নিয়ে বঙ্গ বিজেপির জবাব চাইতে পারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, দুই বছর পর বিজেপির এই শীর্ষ স্তরের দলীয় বৈঠক হতে চলেছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর জাতীয় কর্মসমিতির কোনও বৈঠক হয়নি। যদিও এবারও বৈঠক আয়োজিত হচ্ছে ভার্চুয়ালি। বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে থাকবেন বাংলার প্রতিনিধিরাও। আগামী বছরগুলিতে বিজেপি কোন পথে চালিত হবে, তার একটি প্রস্তাব পাশ হতে পারে আগামিকালের বৈঠকে।
আরও পড়ুন : Delhi Air Pollution : সিগারেটের ধোঁয়ার থেকেও ক্ষতিকর রাজধানীর বাতাস, কমছে দিল্লিবাসীর আয়ু