AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Farmers Laws Repeal: অপেক্ষা অধিবেশন শুরুর, কৃষি আইন প্রত্যাহারে অনুমোদন মন্ত্রিসভার

Farmers Laws Repeal: গত সপ্তাহেই শুক্রবার কৃষকদের একাংশের দাবি মেনে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Farmers Laws Repeal: অপেক্ষা অধিবেশন শুরুর, কৃষি আইন প্রত্যাহারে অনুমোদন মন্ত্রিসভার
এবার রাজনৈতিক পথে লড়াইয়ে কৃষক সংগঠনগুলির একাংশ। ফাইল চিত্র
| Edited By: | Updated on: Nov 24, 2021 | 1:42 PM
Share

নয়া দিল্লি: কৃষি আইন প্রত্যাহারের (Farm Laws Repeal) প্রস্তাবে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। গত সপ্তাহেই শুক্রবার কৃষকদের একাংশের দাবি মেনে তিনটি কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সেই সময়ই তিনি জানিয়েছিলেন, আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে (Parliament’s Winter Session) এই আইন প্রত্যাহারের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা হবে। তারই প্রথম ধাপ ছিল ক্যাবিনেটের অনুমোদন। এ দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আইন প্রত্যাহারের খসড়া বিল (Draft Bill) পেশ করা হলে, তা পাশ হয়ে যায়। এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত।

কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণার পরই গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল, ২৪ নভেম্বর মন্ত্রিসভায় আইন প্রত্যাহারের প্রস্তাব পেশ করা হতে পারে। এ দিন মন্ত্রিসভায় এই খসড়া বিল পেশ করা হলে, তা পাশ হয়ে যায়। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, যে কোনও বিল সংসদে পেশের আগে তা মন্ত্রিসভায় পেশ করা হয়। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন মিললে, তবেই তা সংসদে পেশ করা হয়।

আগামী ২৯ নভেম্বর সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অধিবেশনের প্রথম দিনেই হয়তো পেশ করা হতে পারে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল ২০২১ (Farm Laws Repeal Bill 2021)। কৃষি মন্ত্রকের তরফেও এই বিল নিয়ে আলোচনা করা হবে।

গত বছরই সেপ্টেম্বর মাসে সংসদে পাশ হয়েছিল তিনটি কৃষি আইন। কেন্দ্রের তরফে এই দীর্ঘ আলোচিত আইন আনার কারণ হিসাবে বলা হয়েছিল, এই আইনের মাধ্যমে মধ্যস্থতাকারী বা ফড়ে ব্যবসায়ীদের সরিয়ে দেওয়া হবে। কৃষকরা দেশের যে কোনও প্রান্তে নিজেদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে পারবে। এতে সবথেকে বেশি উপকৃত হবে ছোট ও মাঝারি মাপের কৃষকরা।

অধিকাংশ কৃষকরাই এই আইনকে স্বাগত জানালেও, পঞ্জাব, হরিয়ানা সহ দেশের একটি বড় অংশের কৃষকরাই এই আইনের বিরোধিতা করেন। তাদের দাবি ছিল, এই আইনে বড় বড় কর্পোরেট সংস্থার কৃপায় কৃষকদের থাকতে বাধ্য করা হবে। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যটুকুও মিলবে না। অন্য কোনও ক্রেতা না থাকায়, কর্পোরেট সংস্থারা যে দামে কিনতে চাইবে, কৃষকদের সেই দামেই বিক্রি করতে হবে। একইসঙ্গে এই আইনে ছোট কৃষকরা নিজেদের জমিটুকুও কর্পোরেট সংস্থার হাতে খোয়াতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়। সেই ভয়ই ধীরে ধীরে আন্দোলনের আকার নেয়। বিগত প্রায় এক বছর ধরে দিল্লির তিন সীমান্তে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে পঞ্জাব, হরিয়ানা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা।

এক বছর ব্যাপী আন্দোলনের পর কৃষক স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুরু নানকের জন্মজয়ন্তীর দিন জাতির উদ্দেশে ভাষণ রাখতে গিয়েই প্রধানমন্ত্রী আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন। তিনি বলেছিলেন, “প্রত্যেক দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি। আমরা কৃষকদের উন্নতির কথা ভেবেই এই আইন নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু আমরাই হয়তো কৃষকদের বোঝাতে পারিনি। আমাদেরই হয়তো প্রচেষ্টায় কোনও গাফিলতি ছিল যে আমরা কৃষকদের এই তিনটি আইনের সুফল ও মহৎ উদ্দেশ্য বোঝাতে অক্ষম হয়েছি।”

সোমবার থেকেই শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। আর প্রথম দিনেই ‘কৃষি আইনসমূহ প্রত্যাহার বিল, ২০২১’ সংসদে পেশ করা হবে। এই বিলের মাধ্যমেই তিন কৃষি আইন বাতিল নিয়ে আলোচনা করা হবে, এমনটাই জানানো হয়েছে সংসদীয় কমিটির তরফে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী জানান, ২৯ নভেম্বর অধিবেশনের শুরুতেই কৃষি আইন প্রত্য়াহার নিয়ে আলোচনা হবে। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের তরফেও এই তিন আইন নিয়ে আলোচনা করা হবে, তবে সেই আলোচনার চূড়ান্ত দিন এখনও ধার্য হয়নি।

আরও পড়ুন: Yogi on employment: নয়ডা বিমানবন্দর আনতে চলেছে ৩৫ হাজার কোটির বিনিয়োগ, হবে ১ লক্ষ কর্মসংস্থান, জানালেন যোগী