প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পোস্টার কাণ্ড: এফআইআর বাতিলের আবেদন সুপ্রিম কোর্টে
প্রদীপ কুমার নামে এক জনৈক ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে জানিয়েছেন, মানুষের বাক স্বাধীনতা আটকানো যাবে না।
নয়া দিল্লি: রাজধানী জুড়ে পোস্টার পড়েছিল ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের ছেলেমেয়েদের ভ্যাকসিন বিদেশে কেন পাঠালেন?’ এরপরই দিল্লি থেকে অন্তত ২৪ জন গ্রেফতার হয়েছেন। এ ছাড়াও এফআইআর দায়ের হয়েছে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ বার সেই এফআইআর বাতিলের আবেদন জমা পড়ল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। প্রদীপ কুমার নামে এক জনৈক ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে জানিয়েছেন, মানুষের বাক স্বাধীনতা আটকানো যাবে না। তাই এফআইআর বাতিল করতে হবে।
সারা দেশে ভ্যাকসিন সঙ্কট, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তছনছ করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা বারবার কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব হচ্ছে। ভ্যাকসিন অনুমোদিত হওয়ার পর বিদেশে রফতানি করা নিয়েও প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। সেই মর্মে এই পোস্টার পড়ায় গ্রেফতারিতে রাজনৈতিক রঙও লেগেছে। খোদ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইট করে এই পোস্টারের লেখা-যুক্ত একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, “আমাকেও গ্রেফতার করুন।” তাঁর টুইটারের প্রোফাইল পিকচারেও সেই ছবি।
কংগ্রেসের অন্য নেতারাও একই ইস্যুতে টার্গেট করছেন কেন্দ্রকে। পোস্টার দেওয়ার জন্য গ্রেফতারিকে কটাক্ষ করে টুইটারে রাজ্যসভার সাংসদ পি চিদম্বরম লিখেছেন, “উদযাপন করুন, এটাই বাকস্বাধীনতা। শুধু প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলেই বাদ পড়তে হবে। তাই দিল্লি পুলিশ ২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।” কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক সিঙ্ঘভি লিখেছেন, “আমি আঘাতপ্রাপ্ত, পোস্টার দেওয়ার জন্য অটো ড্রাইভার, প্রিন্টার, দিনমজুরকে গ্রেফতার করতে হচ্ছে। এটা অনেকটা উত্তর প্রদেশের বাবার মৃত্যু অভিযোগে জেল হওয়ার মতো।”
উল্লেখ্য দেশের করোনা বিধ্বস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি দিল্লি। যদিও লকডাউনের ফলে সেখানে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা হলেও উন্নত হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৪৫৬ জন। যার ফলে দিল্লিতে এখন মোট করোনা আক্রান্তর সংখ্যা প্রায় ১৪ লক্ষ।
আরও পড়ুন: খুলে গেল কেদারনাথ মন্দির, টুইট উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর