MD Salim in Murshidabad: মুর্শিদাবাদে খাতা খোলার মরিয়া চেষ্টা! সেলিমের হাত ধরে ফিরছে CPM-এর সেই ‘পাড়া বৈঠক’
MD Salim: বাম আমলে সিপিএম-এর অন্যতম জনপ্রিয় কর্মসূচি ছিল এই 'পাড়া বৈঠক'। যেখানে পাড়ায়-পাড়ায় গিয়ে জনসংযোগ করতেন বাম নেতা-নেত্রীরা। পাড়ার একটি বাড়িতে আলোচনায় বসতেন বাম-নেতা-নেত্রীরা। সেখানে উপস্থিত হতেন পাড়ার বাকিরা। এলাকার কী কী সমস্যা? এই সমস্যা সমাধানের কী উপায়? যাবতীয় সব কিছু আলোচনা হত সেখানে। এক কথায় নিবিড় সংযোগ চলত এই বৈঠকে।

মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদে এবার পাড়া বৈঠকে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের। পাড়া বৈঠক সিপিআইএমের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। তবে সাম্প্রতিককালে রাজ্য সম্পাদক ‘পাড়া বৈঠক’ করেছেন একথা মনে করতে পারছেন না কেউই। এবার সেই মুর্শিদাবাদে ভোটের আগে এমন ‘পাড়া বৈঠক’ সিপিএম-এর তা নিয়েই বাড়ছে জল্পনা। ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের পদত্যাগের পর এই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ নজরে রয়েছে বিরোধী থেকে শাসক সব দলের নজরে। এবার সেইখানেই খাতা খোলার মরিয়া চেষ্টা করছে কি শূন্য সিপিএম? উঠছে প্রশ্ন। আজ সন্ধেয় রানিনগর, ধনিরামপুর,নরসিংহপুরের মতো একাধিক বিধানসভা এলাকায় হতে চলেছে এই বৈঠক।
সম্প্রতি, আলিমুদ্দিনের ‘ম্যানেজারদের’ ঘরোয়া আলোচনায় মালদহ-মুর্শিদাবাদের প্রসঙ্গ উঠে আসে। বিধানসভা নির্বাচনে অন্য জায়গার তুলনায় এই দুই জেলায় ভাল ফল করার করার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি বামেদের। আর এবার সেই মুর্শিদাবাদে পাড়া বৈঠক করবেন মহম্মদ সেলিম। যা নিয়ে, গত কয়েকদিন ধরে রাজ্য রাজনীতি তো বটেই জাতীয় স্তরে আলোচনায় মুর্শিদাবাদের কথা উঠে এসেছে।
লোকসভা ভোটে মুর্শিদাবাদ আসন থেকে ভাল ভোট পেলেও শেষ পর্যন্ত জয়ের মুখ দেখেননি মহম্মদ সেলিম। রাজ্যের বাকির ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের নিরিখে রানীনগর আসনে এগিয়েও ছিলেন তিনি। এমনকী, গোটা রাজ্যের মধ্যে লোকসভা ভোটের নিরিখে ওই একটি আসনেই এগিয়ে ছিল বামেরা। এবারও আবার সেদিকেই কি নজর সিপিআইএমের? উঠছে প্রশ্ন।
বাবরি মসজিদ ইস্যুতে সম্প্রতি তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের। তৃণমূলের সাসপেন্ডেড বিধায়ক হুমায়ূন কবীর দাবি করেছিলেন,বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা চলছে। এমনকী, সিপিএম নাকি রাজিও হয়ে গিয়েছে আসন সমঝোতা নিয়ে। এ নিয়ে হুমায়ুন বলেন, “আমার নতুন দল তো রেডি আছে। আগামী ২২ তারিখ ওপেন করব। ওয়েসি সাহেবের সঙ্গে জোট করব। আমার টার্গেট ১৩৫। তার মধ্যে ওয়েসি সাহেব কত ডিমান্ড করেন দেখতে হবে। আমার সঙ্গে সিপিএমও রাজি আছে জোট করতে। সিপিএম-আইএসএফ এদের চারটে সিট ছাড়লাম। ওরা শূন্য আছে তো এখানে।” অর্থাৎ কত আসন ছাড়বেন সেই হিসাবও কষে ফেলেছেন হুমায়ুন। তবে কি জোট করেই এগোবে বামেরা? নাকি লড়বে একা-একা?এহেন আবহে সেলিমের এই কর্মসূচি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই আলোচনায় রাজনীতির বিশ্লেষকরা।
সিপিএম-এর পাড়া বৈঠক কী?
বাম আমলে সিপিএম-এর অন্যতম জনপ্রিয় কর্মসূচি ছিল এই ‘পাড়া বৈঠক’। যেখানে পাড়ায়-পাড়ায় গিয়ে জনসংযোগ করতেন বাম নেতা-নেত্রীরা। পাড়ার একটি বাড়িতে আলোচনায় বসতেন বাম-নেতা-নেত্রীরা। সেখানে উপস্থিত হতেন পাড়ার বাকিরা। এলাকার কী কী সমস্যা? এই সমস্যা সমাধানের কী উপায়? যাবতীয় সব কিছু আলোচনা হত সেখানে। এক কথায় নিবিড় সংযোগ চলত এই বৈঠকে।
কিন্তু ক্ষমতা হারানোর পর পাড়া বৈঠক গিয়েছে উবে। শেষ কবে এই বৈঠক হয়েছে মনে করা দায়। তবে ছাব্বিশের ভোটের আগে এই মুর্শিদাবাদের একটি বিধানসভা অন্তত পক্ষে আয়ত্বে আনতে মরিয়া বামেরা। আর তাই সেলিমের এই কর্মসূচি তাৎপর্য পূর্ণ বলেই আলোচনায় রাজনীতির বিশ্লেষকরা।
