Chandrayaan 5: চিনের শত্রু-রাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চাঁদে ‘যাওয়ার’ তোড়জোড় শুরু করল ভারত
Chandrayaan 5: উল্লেখ্য, চাঁদের পৃষ্ঠদেশ নিয়ে গবেষণা করতেই বছর বছর ধরে চন্দ্রযান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে ইসরো। ২০০৮ সালে সর্বপ্রথম চন্দ্রযান-১ সফল ভাবে উৎক্ষেপণ করে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

নয়াদিল্লি: আবার চাঁদ-সফরে নতুন অভিযানে ভারত। গতবছর চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের পর বিশ্বজুড়ে মহাকাশ গবেষণায় খ্যাতি অর্জন করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। সেই সাফল্যের পরপরই চন্দ্রযান-৪ অভিযানের জন্য তোড়জোড় শুর করে দেয় তারা। ইতিমধ্য়ে সেই অভিযানেও মিলেছে কেন্দ্রের অনুমোদন। সব ঠিক থাকলে ২০২৭ সালেই আকাশ ছুঁয়ে ফেলবে চন্দ্রযান-৪।
চন্দ্রযান-৪ যখন মাটিতে দাঁড়িয়ে, সেই আবহেই চন্দ্রযান-৫-এর জন্য কোমড় বেঁধে নেমে পড়ল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। জানা গিয়েছে, এই অভিযানের জন্য ইসরোকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দিয়ে দিল কেন্দ্র।
এর আগে চাঁদে অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষানিরিক্ষার জন্য রোভার ‘প্রজ্ঞান’কে চন্দ্রযান-৩-এর সঙ্গে পাঠিয়েছিল ইসরো। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছিল, সেই ‘প্রজ্ঞান’-এর ওজন প্রায় ২৫ কেজি। কিন্তু চন্দ্রযান-৫ অভিযানে এই রোভারের ওজন বাড়তে চলেছে প্রায় ১০ গুণ। আড়াইশো কেজির রোভার নিয়ে এবার চাঁদে যাবে চন্দ্রযান-৫।
এই নতুন অভিযান নিয়ে ইসরোর প্রধান ভি নারায়ণন জানাচ্ছেন, ‘মাত্র তিনদিন আগেই কেন্দ্রের থেকে চন্দ্রযান-৫ অভিযানের অনুমোদন মিলেছে। জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগেই আমরা এই অভিযানের কাজ শুরু করতে চলেছি।’
উল্লেখ্য, চাঁদের পৃষ্ঠদেশ নিয়ে গবেষণা করতেই বছর বছর ধরে চন্দ্রযান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে ইসরো। ২০০৮ সালে সর্বপ্রথম চন্দ্রযান-১ সফল ভাবে উৎক্ষেপণ করে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। তারপর চন্দ্রযান-২ অভিযান করা হলেও, তা সাফল্য পায়নি। তীরে এসেই তরী ডুবেছিল বলেই দাবি করেন ইসরোর গবেষকরা। তবে এই ‘ব্যর্থ’ অভিযানের মাধ্যমেই চাঁদের পৃষ্ঠদেশের একাধিক ছবি সংগ্রহ করেছে ভারত। এরপর ২০২৩ সালে সাফল্য পায় চন্দ্রযান-৩। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে নিজেদের কাজ করা শুরু করে তাঁরা।





