TV9 বাংলা ডিজিটাল: ব্যর্থ মঙ্গলবারের বৈঠক। কেন্দ্রের কমিটি গঠনের প্রস্তাব সরাসরি ফিরিয়ে দিল কৃষকরা। সরকারকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিল, “এটা কমিটি গঠনের সময় নয়”। সমস্যা সমাধানে আজ ফের বৈঠকে বসবে দুই পক্ষ।
কৃষক আন্দোলনের (Farmers protest against Farm laws) জেরে রাজধানী কার্যত বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়েছে। পঞ্জাব (Punjab) ও হরিয়ানা (haryana) থেকে আরও কৃষকেরা আন্দোলনে যোগ দিতে দিল্লির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে। কৃষকেরা আন্দোলন জারি রাখার হুমকি দিতেই আরও সতর্ক হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গতকালের বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার (Narendra Singh Tomar) একটি বিশেষ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন। কৃষক প্রতিনিধি ছাড়াও সরকারের কয়েকজন প্রতিনিধি ও কৃষি বিশেষজ্ঞ নিয়ে তৈরি কমিটিতে চলতি বছরে আনা কৃষি আইন সম্পর্কে আলোচনা করা হবে বলেই তিনি জানান। তবে কৃষকেরা এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।
গত ১৩ নভেম্বরের বৈঠকেই কৃষক আন্দোলনে রাশ টানতে বিশেষ কমিটি গঠনের পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু প্রথম থেকেই বহু কৃষক ইউনিয়ন এই কমিটি গঠনের বিরোধিতা করে জানান, তাদের দাবি অনুযায়ী তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। গতকালের বৈঠকেও একই দাবি তোলেন কৃষক প্রতিনিধিরা। এক কৃষক প্রতিনিধি বলেন,”আমরা সরকারের বিশেষ কমিটি গঠনের প্রস্তাব গ্রহণ করিনি। নতুন কৃষি আইন বাতিল হোক,আমরা এটাই চাই। সরকার শক্তি প্রয়োগ করলেও আমরা পিছু হটব না, আমাদের আন্দোলন জারি থাকবে।”
Delhi: Protesting farmers try to remove barricading placed at Ghazipur-Ghaziabad (Delhi-UP) border pic.twitter.com/KWJpEfCVXJ
— ANI (@ANI) December 2, 2020
আরও পড়ুন: যোগী সরকারের অধ্যাদেশে রাজ্যপালের সই, উত্তর প্রদেশে লাগু হয়ে গেল ‘লভ জেহাদ’ আইন
অন্যদিকে বৈঠক শেষে গতকাল কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার (Narendra Singh Tomar) বলেন,”আমরা একটা ছোট দল চেয়েছিলাম, কিন্তু কৃষকদেরই দাবি ছিল তাঁরা একসঙ্গে কথা বলবে। আমাদের এই বিষয়ে কোনও সমস্যা নেই। আমরা চাই কৃষকেরা আন্দোলন স্থগিত করে আলোচনায় বসুক। এই সিদ্ধান্তটি কৃষকদের উপরই নির্ভর করছে।” বৈঠক শেষে ৩৫ জন কৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন রেলমন্ত্রী পিযুষ গোয়েল ও ক্ষুদ্র শিল্প মন্ত্রী সোম প্রকাশও।
অল ইন্ডিয়া কিষান সভার প্রধান ওয়ার্ক সিং বলেন ” আগামীকাল (আজ) কৃষক সংগঠনগুলির প্রধানদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। গতকালের বৈঠকের পর্যালোচনাই করা হবে এই বৈঠকে। আগামী ৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন কৃষকদের সরকারের সঙ্গে আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত চুড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তে পৌছানো যাচ্ছে না, ততদিন অবধি এই আলোচনা চলবে।”
কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে পঞ্জাবের বিভিন্ন স্বনামধন্য খেলোয়াড় ও কোচরা তাদের প্রাপ্ত স্মারক ও পুরস্কার ফিরিয়ে দেবেন এবং ৫ ডিসেম্বর কৃষকদের প্রতি সমর্থন দেখিয়ে দিল্লির উদ্দেশ্যে পদযাত্রা করবেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কৃষক আন্দোলনের জন্য পঞ্জাব সরকারকে দায়ী করে পুলিসকে ধন্যবাদ মনোহর লাল খট্টরের