AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কৃষক আন্দোলনের জন্য পঞ্জাব সরকারকে দায়ী করে পুলিসকে ধন্যবাদ মনোহর লাল খট্টরের

আন্দোলনকারীরা কৃষকরা শুক্রবার সকালে দিল্লি সীমান্তে এসে পৌঁছায়। সেখানেও তাদের পুলিসি বাধার সম্মুখীন হতে হয়। তবে কৃষিবিল প্রত্যাহার না হওয়া অবধি তারা ফিরবেন না বলেই জানিয়েছেন।

কৃষক আন্দোলনের জন্য পঞ্জাব সরকারকে দায়ী করে পুলিসকে ধন্যবাদ মনোহর লাল খট্টরের
ফাইল চিত্র।
| Updated on: Dec 01, 2020 | 7:02 PM
Share

TV9 বাংলা ডিজিটাল: দিল্লি সীমান্ত কৃষক আন্দোলনে উত্তাল হলেও পঞ্জাব (Punjab) ও হরিয়ানা (Haryana) সরকার একে অপরকে দুষতেই ব্যস্ত। কৃষক আন্দোলনের জন্য ফের একবার পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করলন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর (Manohar lal khattar vs Amarinder Singh)। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের অধিকর্তারাই এই প্রতিবাদ মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।

কৃষি বিলের (Farm Law) বিরুদ্ধে দেশজুড়ে সমস্ত কৃষকেরা যে আন্দোলনে নেমেছে। দিল্লি চলো অভিযানে পুলিসের লাঠিচার্জ, জলকামানের প্রয়োগের নিন্দায় যখন সরব গোটা দেশ, সেই সময় হরিয়ানার পুলিসকর্মীদেরই ধন্যবাদ জানালেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন,”পঞ্জাবের কৃষকেরা প্রতিবাদ করছে। হরিয়ানার কৃষকেরা আন্দোলন থেকে দূরেই রয়েছে। আমি হরিয়ানার কৃষক ও পুলিসকে ধন্যবাদ জানাই এই প্রতিরোধ প্রদর্শনের জন্য। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী এই আন্দোলনে মদত জোগাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের কর্মকর্তারা নেতৃত্ব দিচ্ছে প্রতিবাদ মিছিলে।”

গত বৃহস্পতিবারও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পারার কথা বলেন মনোহর লাল খট্টর। আজ ফের সাংবাদিকদের জানান,এখনও অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর দিক থেকে কোনও সাড়া মেলেনি। অন্যদিকে অমরিন্দর সিং টুইটে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন,”ওদের যেতে দিন খট্টরজী, দোরগোড়ায় এসে আটকাবেন না। শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কন্ঠ দিল্লিতে পৌঁছতে দিন।”

আরও পড়ুন: COVID 19: ফের রেকর্ড, দেশে সংক্রমণের হার কমল ৪ শতাংশ, টিকা উত্পাদনকারী তিন সংস্থায় প্রধানমন্ত্রীর সফর

হরিয়ানা পুলিসের জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহারের প্রতিবাদ জানিয়ে অমরিন্দর সিং বৃহস্পতিবারই প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বলেন,”মনোহর লাল খট্টরের হরিয়ানা সরকার কেন কৃষকদের দিল্লি যেতে বাধা দিচ্ছে? শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলে কৃষকদের উপর নির্মমভাবে শক্তি প্রয়োগ সম্পূর্ণভাবে অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক।” এর জবাবেই হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি তিন দিন ধরে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। কেবল টুইট করেই তিনি দায়িত্ব সাড়ছেন এবং আলোচনা এড়িয়ে যাচ্ছেন।

হরিয়ানা সীমান্তে একপ্রস্থ লড়াই করে শুক্রবার সকালে আন্দোলনরত কৃষকেরা দিল্লি সীমান্তে এসে পৌঁছান। তবে সেখানেও পুলিসি ব্যারিকেডের জালে আটকে দেওয়া হয় তাদের। কৃষকরা জানান, ট্রাক্টরে তারা ছয়মাসের খাবার ও অত্যাবশকীয় সামগ্রী নিয়ে এসেছে। কেন্দ্র নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা অবধি তারা পিছু হটবেন না।

আরও পড়ুন: জিডিপি নেমে এল -৭.৫ শতাংশে, দেশ ‘আপাত মন্দা’য়