AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

আপনার মস্তিষ্কের ভয়ঙ্কর ক্ষতি করে দিচ্ছেন ChatGPT, জানতে পারলে সার্চ করার আগও দু’বার ভাববেন!

ChatGPT: দেখা যায়, এআই ব্যবহারকারী গ্রুপ প্রথমে দ্রুত রেজাল্ট দেখালেও, দীর্ঘ সময়ে মস্তিষ্ক ধীর-স্থির হয়ে গিয়েছে। পড়ুয়ারা যারা চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে, তাদের কোনও কিছু মনে রাখার ক্ষমতা কমে যাচ্ছে।

আপনার মস্তিষ্কের ভয়ঙ্কর ক্ষতি করে দিচ্ছেন ChatGPT, জানতে পারলে সার্চ করার আগও দু'বার ভাববেন!
প্রতীকী চিত্র।Image Credit: Pixabay
| Updated on: Jul 28, 2025 | 11:08 AM
Share

নয়া দিল্লি: আগে ছিল গুগল। এখন এসেছে চ্যাটজিপিটি। কোনও প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এদেরই দ্বারস্থ হচ্ছে সবাই। নিজের মাথা ঘামানোর দরকারই হয় না। জানা বিষয়েও উত্তর দিতে চ্যাটজিপিটির মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগাচ্ছেন অনেকেই। তবে এতে আপনার মস্তিষ্কে কী প্রভাব পড়ছে জানেন?

চ্যাটজিপিটি (ChatGPT) আপনার জন্য ডিজিটাল জিনি হলেও আসলে তা আপনাকে বোকা পরিণত করছে। এ কথা বলছে এমআইটি-র বিজ্ঞানী-গবেষকরা। তারা গবেষণায় খুঁজে পেয়েছেন, চ্যাটজিপিটির মতো এআই টুল ব্যবহার করায় মস্তিষ্কে ক্ষতি হচ্ছে, ধীরে ধীরে মুছে যাচ্ছে স্মৃতি। এমনকী, গুরুত্বপূর্ণ কোনও বিষয়ে চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা হারিয়ে যাচ্ছে। কমে যাচ্ছে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা।   

‘দ্য কগনিটিভ কস্ট অব ইউজিং লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলস’ শীর্ষ স্টাডিতে বলা হয়েছে, চ্যাটজিপিটির মতো টুল মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনা, শেখার ক্ষমতা, এমনকী মাথায় কোনও তথ্য রাখার ক্ষমতা কমে যাচ্ছে।

এমআইটি-তে ৫৪ জন পড়ুয়ার উপরে ৪ মাস ধরে গবেষণা করা হয়েছে। তিনটি গ্রুপে ভাগ করা হয়, এক দল চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে, একদল গুগল এবং আরেকটি দল কোনও কিছুরই সাহায্য না নিয়ে বিভিন্ন কাজ করে। ইলেকট্রোএনসেফালোগ্রাফি (EEG) ডিভাইস দিয়ে তাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়।

দেখা যায়, এআই ব্যবহারকারী গ্রুপ প্রথমে দ্রুত রেজাল্ট দেখালেও, দীর্ঘ সময়ে মস্তিষ্ক ধীর-স্থির হয়ে গিয়েছে। পড়ুয়ারা যারা চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে, তাদের কোনও কিছু মনে রাখার ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। তাদের ব্রেইন কাজ করাও কমিয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে, যারা কোনও কিছুর সাহায্য না নিয়ে কাজ করেছেন, প্রজেক্ট লিখেছেন, তাদের পরীক্ষার ফলাফল অনেক ভাল। ভাষাগত দক্ষতাও অনেক বেশি।

এদিকে, যারা গুগল ব্যবহার করেছিল, সেই পড়ুয়াদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা মাঝারি ছিল। চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের তুলনায় তাদের চিন্তাশক্তি বেশি। তারা নিজস্ব আইডিয়া বা ভাবনা ভাবতে সক্ষম।

এই সমীক্ষাতেই উঠে এসেছে যে যারা নিয়মিত চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে, তাদের শুধু কীভাবে ভাববে, তার উপরেই প্রভাব নয়, সামগ্রিক ভাবনাচিন্তার উপরেই প্রভাব পড়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপরে অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা তাদের মস্তিষ্কের সক্রিয়তা কমিয়ে দিয়েছে। কোনও সৃজনশীল চিন্তাভাবনা করা, লেখার ক্ষমতা হারিয়ে যাচ্ছে।