Jharkhand MLA in Chhattisgarh: অতিথি ঝাড়খণ্ডের ৩২ বিধায়ক, খাতিরদারিতে সরকারি গাড়িতে এল মদের বোতল! বিতর্কে বাঘেল সরকার
Jharkhand MLA in Chhattisgarh: বাবুলাল মারান্ডি নামক অপর এক বিজেপি নেতাও ছত্তীসগঢ় সরকারকে দোষারোপ করে বলেন, "ছত্তীসগঢ়ের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডেও মদ খাওয়ানো, টাকা লেনদেনের যে কর্মকাণ্ড চলছে, তা আসলে ঝাড়খণ্ড সরকারের।"
রাঁচী: এমনিতেই সরকার টলোমলো, তার উপরে একের পর এক বিতর্কে জড়াচ্ছেন হেমন্ত সোরেন। গত সপ্তাহ থেকেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর গদি নিয়েই শুরু হয়েছে টানাটানি। দলে ভাঙন রুখতে তড়িঘড়ি বিধায়কদেরও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রিসর্টে। কিন্তু সেখানেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। বিধায়কদের নিয়ে যাওয়ার জন্য যে গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছিল, তার ভিতরেই মদের বোতলের দেখা মিলতেই নতুন করে শুরু হল বিতর্ক। সরকারি গাড়িতে মদের বোতল রেখে দেওয়ার ছবি প্রকাশ্যে আসতেই ঝাড়খণ্ডের পাশাপাশি ছত্তীসগঢ় সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের সমালোচনাও শুরু করেছে বিজেপি।
রাজস্থান, মহারাষ্ট্রে যেভাবে বিধায়কদের ভিন রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, ঠিক একইভাবে ঝাড়খণ্ডেও সরকারের ভাঙন রুখতে ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেসের বিধায়কদের প্রতিবেশী রাজ্য ছত্তীসগঢ়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার চার্টার্ড ফ্লাইটে করে বিধায়কদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ছত্তীসগঢ়ের একটি বিলাসবহুল রিসর্টে তাদের রাখা হয়েছে। এদিকে, বিধায়করা পৌঁছনোর আগেই রায়পুরের মেফেয়ার রিসর্টের বাইরে ছত্তীসগঢ় সরকারের গাড়ি দেখা যায়। সেই গাড়ির ভিতরেই মদের বোতলের বাক্স ভর্তি ছিল।
এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পরই ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের সমালোচনা করে বিজেপি নেতা রমন সিং টুইট করে বলেন, “রাজ্যটা অনৈতিকতার ঘাঁটি নয় যেখানে ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের ছত্তীসগঢ় সরকারের টাকা দিয়ে খাওয়ানো হবে। অসম, হরিয়ানার পর এবার ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদেরও ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। এই অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য ছত্তীসগঢ়ের মানুষ কখনও ক্ষমা করবে না।”
सरकारी गाड़ी में झारखंडी मेहमानों के लिये शराब की ढ़ुलाई।
वैसे याद दिला दें झारखंड में भी शराब परोसने,पीने-पीलाने और उससे पैदा होने वाले “धन” के “लेन-देन” का पूरा नेटवर्क छत्तीसगढ़ का ही है। #धन्य_हमर_सोना_झारखंड pic.twitter.com/g2As9Sf2IG
— Babulal Marandi (@yourBabulal) August 30, 2022
বাবুলাল মারান্ডি নামক অপর এক বিজেপি নেতাও ছত্তীসগঢ় সরকারকে দোষারোপ করে বলেন, “ছত্তীসগঢ়ের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডেও মদ খাওয়ানো, টাকা লেনদেনের যে কর্মকাণ্ড চলছে, তা আসলে ঝাড়খণ্ড সরকারের।”
উল্লেখ্য, গতকালই ঝাড়খণ্ড সরকারের ৩২ জন বিধায়ককে চার্টার্ড বিমানে রাঁচী থেকে ছত্তীসগঢ়ে নিয়ে আসা হয়। তবে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন রাজ্যেই রয়ে গিয়েছেন।