China: ভারতীয় ওষুধ চিনে শুল্ক-হীন, ট্রাম্পকে বার্তা দিয়ে বড় সিদ্ধান্ত জিনপিংয়ের
China import duty on Indian pharma product: আমেরিকায় ভিনদেশি পণ্য নিয়ে গত কয়েকমাসে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। আমেরিকায় ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন। এবার ভিনদেশি ওষুধে ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। তারপরই ভারতীয় ওষুধে শুল্ক নিয়ে এই ঘোষণা করল চিন।

নয়াদিল্লি ও বেজিং: ডোনাল্ড ট্রাম্পের হঠকারিতায় আমেরিকার সঙ্গে ভারতের টানাপোড়েন বাড়ছে। সেই আবহে নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার বার্তা দিল চিন। ভারতীয় ওষুধে শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য করল বেজিং। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমেরিকায় আমদানি হওয়া ওষুধে ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর পর চিনের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে কূটনীতিকরা মনে করছেন। বেজিংয়ের এই সিদ্ধান্তে চিনে ভারতীয় ওষুধের রফতানি অনেক বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
আমেরিকায় ভিনদেশি পণ্য নিয়ে গত কয়েকমাসে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। আমেরিকায় ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন। এবার ভিনদেশি ওষুধে ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। ২ দিন আগে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া, ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লেখেন, “১ অক্টোবর থেকে আমরা যেকোনও ব্রান্ডেড বা পেটেন্ট নেওয়া ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের উপরে ১০০ শতাংশ শুল্ক বসাব, যদি না তারা আমেরিকায় ওষুধ তৈরির প্ল্যান্ট তৈরি করে। নির্মাণ শুরু হবে, সেটাই চুক্তি। কোনও ছাড় পাওয়া যাবে না।”
ট্রাম্পের এই ১০০ শতাংশ শুল্কের ঘোষণায় ভারতের উপরে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। কারণ ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের সবথেকে বড় বাজার আমেরিকা। ভারত সবথেকে বেশি আমেরিকাতেই ওষুধ রফতানি করে। এই অবস্থায় চিন ভারতীয় ওষুধে শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে একেবারে শূন্য করে দিল। এর ফলে ভারতীয় কোম্পানিগুলিকে চিনে ওষুধ রফতানি করার জন্য কোনও শুল্ক দিতে হবে না। ফলে চিনে ভারতীয় ওষুধের রফতানি বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত কয়েকমাসে ট্রাম্পের একাধিক পদক্ষেপের পর রাশিয়া, ভারত ও চিন আরও কাছাকাছি এসেছে। চিনের তিয়ানজিনে আয়োজিত SCO সম্মেলনে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। ভারত ও চিনের সম্পর্কের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন মোদী ও জিনপিং। কূটনীতিকরা বলছেন, এখন ভারতের ওষুধে শুল্ক শূন্য করে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও বাড়ানোর বার্তা দিলেন জিনপিং। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, ট্রাম্পকেও কি বার্তা দিল বেজিং?
