‘রোজ ঈশ্বরের সামনে বসে বলতাম…’, রাম মন্দিরের শুনানির সময় কেন ভগবানের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়?

DY Chandrachud: রাম মন্দির বিতর্ক ও তা নিয়ে মামলা প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, "কখনও কখনও এমন কিছু মামলা আসে যেখানে আমরা কোনও সমাধান সূত্রে পৌঁছাতে পারি না। অযোধ্যা মামলার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। তিন মাস ধরে আমার সামনে ছিল গোটা বিষয়টি।"

'রোজ ঈশ্বরের সামনে বসে বলতাম...', রাম মন্দিরের শুনানির সময় কেন ভগবানের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়?
রাম মন্দিরের শুনানি নিয়ে কী বললেন প্রধান বিচারপতি?Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Oct 21, 2024 | 8:14 AM

নয়া দিল্লি: অযোধ্যার রাম মন্দির। রামের জন্মভূমি নিয়ে শতবর্ষের বিতর্ক। ভাঙা হয়েছিল ওই জমিতে তৈরি বাবরি মসজিদও। শেষ পর্যন্ত ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের তরফে রাম জন্মভূমিকেই মান্যতা দেওয়া হয়। বিতর্কিত ওই জমিতে রাম মন্দির তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে অনেকেরই অজানা যে রাম মন্দিরের রায়দানের অংশ ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও। রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ জমি বিতর্কের শুনানি ও রায়দানের সময়ে তাঁর ভিতরে কী চলছিল, তা-ই ভাগ করে নিলেন প্রধান বিচারপতি।

রবিবার একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ জমি বিতর্কের রায়দান প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “আমি প্রতিদিন ঈশ্বরের সামনে বসে প্রার্থনা করতাম। আমি মনে করি যে যদি কেউ বিশ্বাস রাখে, তবে ভগবান তাঁকে সঠিক পথ দেখাবেই।”

রাম মন্দির বিতর্ক ও তা নিয়ে মামলা প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, “কখনও কখনও এমন কিছু মামলা আসে যেখানে আমরা কোনও সমাধান সূত্রে পৌঁছাতে পারি না। অযোধ্যা মামলার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। তিন মাস ধরে আমার সামনে ছিল গোটা বিষয়টি। আমি ভগবানের সামনে বসে বলতাম, তাকে একটা সমাধানের পথ বের করতেই হবে।”

তিনি আরও বলেন, “বিশ্বাস করুন, আপনার মনে যদি ভক্তি থাকে, বিশ্বাস থাকে, তবে ভগবান পথ দেখাবেই।”

প্রসঙ্গত, গত ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার রায়দান করে সুপ্রিম কোর্ট। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ সহ ৫ বিচারপতির বেঞ্চের তরফে ওই বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের নির্দেশ দেন। বাবরি মসজিদ তৈরির জন্য অযোধ্যাতেই ৫ একর জমি বরাদ্দ করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের ওই বিচারপতির বেঞ্চের সদস্য ছিলেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও।