আগরতলা: পরপর দু’দিনে ত্রিপুরার দুই জেলায় দুই নাবালিককে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। শুক্রবার এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠে উত্তর ত্রিপুরা জেলা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এবার দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ক্লাস ফাইভের ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। বেলোনিয়া মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
শনিবার স্কুল থেকে ওই নাবালিকা বাড়ি না ফেরায় দুশ্চিন্তায় পড়ে তার পরিবার। নাবালিকার বাবা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, তাঁর মেয়েকে হয়তো অপহরণ করা হয়েছে। স্কুলে গিয়ে মেয়ের খোঁজ করেও পাননি। তারপর পুলিশের দ্বারস্থ হন। এরপর শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ির কিছুটা দূরে নাবালিকা খুঁজে পাওয়া যায়।
এক পুলিশ অফিসার বলেন, “আমরা খবর পেয়েছিলাম যে এক নাবালিকা স্কুল থেকে বাড়ি ফেরেনি। আমরা তদন্ত শুরু করি। পরে জানা যায়, এক যুবক ওই নাবালিকাকে তার বাড়ির সামনে রেখে পালিয়েছে। বছর বাইশের ওই যুবকের বাড়ি একই এলাকায়। এফআইআর দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ও পকসো আইনের একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। এবং যৌন নির্যাতন করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার উত্তর ত্রিপুরা জেলায় এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই নাবালিকা দোকানে গিয়েছিল। তাকে জঙ্গলে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরে ওই নাবালিকাকে রাস্তার ধারে বেহুঁশ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং পরিজনদের খবর দেন। গতমাসেই দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই নাবালককে গ্রেফতার করে পুলিশ।