Kejriwal: কেজরীবালের পাশে এবার কংগ্রেসও, মমতার সঙ্গে সাক্ষাতের আগেই বিরোধী জোটের পালে জোর হাওয়া

Congress to back AAP: গত শনিবার, কেন্দ্রের জারি করা সাম্প্রতিক অধ্যাদেশের বিরোধিতা করতে সকল বিরোধী দলেরই সমর্থন চেয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। এই বিষয়ে বিরোধীদের সমর্থন পেতে মঙ্গলবারই কলকাতায় আসছেন কেজরীবাল। ঠিক তার আগের দিনই এই বিষয়ে সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে আপকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করল কংগ্রেস।

Kejriwal: কেজরীবালের পাশে এবার কংগ্রেসও, মমতার সঙ্গে সাক্ষাতের আগেই বিরোধী জোটের পালে জোর হাওয়া
আপের পাশেও ভরসার 'হাত' কংগ্রেসের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 22, 2023 | 9:26 PM

নয়া দিল্লি: ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করতে কোনও চেষ্টাই বাকি রাখবে না কংগ্রেস। সোমবার এই বিষয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিল শতাব্দীপ্রাচীন দল। গত শনিবার, কেন্দ্রের জারি করা সাম্প্রতিক অধ্যাদেশের বিরোধিতা করতে সকল বিরোধী দলেরই সমর্থন চেয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। এই বিষয়ে বিরোধীদের সমর্থন পেতে মঙ্গলবারই কলকাতায় আসছেন কেজরীবাল। ঠিক তার আগের দিনই এই বিষয়ে সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে আপকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করল কংগ্রেস। এতদিন পর্যন্ত কংগ্রেস এবং আপ পরস্পরের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলছিল। কর্নাটকে সিদ্দারামাইয়ার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সমস্ত বিরোধী দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও, ব্রাত্য ছিলেন কেজরীবাল। তবে, শেষ পর্যন্ত ২০২৪-এর কথা মাথায় রেখে কেজরীবালের সঙ্গেও হাত মেলাতে রাজি হল হাত শিবির।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এই অধ্যাদেশটি পাস করেছে কেন্দ্র। তার আগে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, দিল্লির আমলাদের নিয়োগ এবং বদলির বিষয়ে একমাত্র সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে দিল্লির নির্বাচিত সরকারের। আদালত বলেছিল, একটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় প্রশাসনের ক্ষমতা অবশ্যই নির্বাচিত সরকারের হাতেই থাকবে। অফিসাররা যদি মন্ত্রীদের কাছে রিপোর্ট করা বন্ধ করেন বা তাঁদের নির্দেশ না মানেন, তাহলে যৌথ দায়িত্বের নীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু, কেন্দ্রের অধ্যাদেশে সেই রায়কে অগ্রাঢ্য করে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরকেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ আপের। রাজ্যসভায় এই অধ্যাদেশটি পাস হওয়া আটকাতে সকল বিরোধী দলের সমর্থন চেয়েছিলেন কেজরীবাল। এর জন্য মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরের দুই দিনে উদ্ধব ঠাকরে ও শরদ পওয়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা কেজরীবালের। কংগ্রেসের প্রসঙ্গ এড়িয়েই গিয়েছিলেন কেজরীবাল।

সোমবার, কংগ্রেস জানিয়েছে, সংসদের ভিতরে এই বিষয়ে আপ দলকে সমর্থন জানাবে তারা। একদিন আগেই কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন, কেজরীবালকে দিল্লির সরকারি অফিসারদের সঙ্গে ‘দুর্ব্যবহার’ না করে তাদের যোগ্য সম্মান জানানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। এই বিষয়ে কেজরীবালকে ‘শীলা দীক্ষিত মডেল’ অনুসরণ করার উপদেশ দেন। তারপরদিনই কংগ্রেসের এই ইউটার্ন বিস্ময়কর। তবে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি সরকার যেভাবে ‘সুপ্রিম কোর্টকে অগ্রাহ্য করছে’ এবং ‘গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা’ করছে, সেই বিষয়ে উদ্বিগ্ন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। তাছাড়া এই অধ্যাদেশে মুখ্যমন্ত্রীর পদের গুরুত্ব, মুখ্য সচিবের স্তরে নামিয়ে আনা হয়েছে বলেও মনে করছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তার ফলে একটি নির্বাচিত সরকারের অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। এই কারণেই এই ইস্যুতে অন্তত অরবিন্দ কেজরীবালের পাশে থাকার বার্তা দিল কংগ্রেস।