Kerala HC: ভাইয়ের দুষ্কর্মে ১৫ বছরেই গর্ভবতী নাবালিকা, বাবার আবেদন মেনে গর্ভপাতের নির্দেশ আদালতের
Kerala High Court: আপন ভাইয়ের দুষ্কর্মের ফলেই গর্ভবতী হয়ে পড়েছে ১৫ বছরের এক নাবালিকা। তার বাবার আবেদন মেনে মেয়েটিকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল আদালত।
নয়া দিল্লি: আপন ভাইয়ের দুষ্কর্মের ফলেই গর্ভবতী হয়ে পড়েছে ১৫ বছরের এক নাবালিকা। তার বাবা তার গর্ভপাতের জন্য আবেদন করেছিলেন কেরল হাইকোর্টে। সে বর্তমানে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তা সত্ত্বেও গত শুক্রবার (১৯ মে), বাবার আবেদনে সাড়া দিয়ে কেরালা হাইকোর্ট নাবালিকা মেয়েটিকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল। বিচারপতি জিয়াদ রহমান এ, এই বিষয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে রিপোর্ট চেয়েছিলেন। সেই মেডিকেল রিপোর্ট পর্যালোচনা করে বিচারপতি সিদ্ধান্তে নিয়েছেন, এই ক্ষেত্রে গর্ভধারণের অনুমতি না দিলে এবং সন্তানের জন্ম হলে বিভিন্ন সামাজিক ও চিকিৎসাগত জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। আর সেই কারণেই সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়া সত্ত্বেও তাকে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হল। ভারতেগর্ভপাতের আইন অনুসারে ২৪ মাস পর্যন্ত গর্ভবতীদের গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হয়। তার বেশি সময় পেরিয়ে গেলে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়াটা ‘ভ্রূণের উল্লেখযোগ্য অস্বাভাবিকতা’র উপর নির্ভর করে।
এই মামলার ক্ষেত্রে কেরালা হাইকোর্টের বিচারপতি জিয়াদ রহমান এ বলেছেন, “শিশুটি আপন ভাই-বোনের সন্তান। তাই সে জন্মালে বিভিন্ন সামাজিক এবং চিকিৎসাগত জটিলতা দেখা দিতে পারে। এই সত্যি বিবেচনা করে আদালত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এই পরিস্থিতিতে গর্ভপাত করার জন্য আবেদনকারীর অনুমতি চাওয়াটা অনিবার্য। মেডিকেল রিপোর্টের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, শিশুটি শারীরিক ও মানসিকভাবে গর্ভপাতের জন্য উপযুক্ত। এটাও বলা হয়েছে যে গর্ভাবস্থা অব্যাহত রাখা শিশুর সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে গুরুতর আঘাতের কারণ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, আমি আবেদনকারীর মেয়েটির গর্ভপাতের অনুমতি দিতে আগ্রহী।” এরপর, আদালত জেলা মেডিকেল অফিসার এবং সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্টকে অবিলম্বে নাবালিকার গর্ভপাতের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন।
এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে এক সপ্তাহ পর। তার মধ্যে গর্ভপাতের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে। পরবর্তী শুনানির দিন, সেই বিষয়ে আদালতে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। বিচারপতি জিয়াদ রহমান এ বলেছেন, “যাতে আদালত এই মামলায় উদ্ভূত হতে পারে এমন সম্ভাব্য অন্যান্য সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য উপযুক্ত আদেশ দিতে পারে, তার জন্য প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর, এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন এই আদালতে জমা দিতে হবে। “