গুলাম নবি আজাদ বলেন, “একসঙ্গে এত সংখ্যক নেতাদের ইস্তফায় এটাই প্রমাণিত হয় যে কংগ্রেসের উচিত এই বিষয়ে নজর দেওয়া। কেন এত সংখ্যক নেতা দল ছাড়ছেন, তার সঠিক উত্তর খুঁজে বের করা প্রয়োজন। এটা বলা উচিত নয় যে এই সমস্ত নেতারা কোনও নেতা বা দলকে দেখে কংগ্রেস ছাড়ছেন। দলের অন্দরে নিশ্চয়ই এমন কিছু হয়েছে যে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারাও অস্বস্তিতে পড়ছেন, দল ছাড়ছেন।”
গুলাম নবি আজাদ ছাড়াও রাজ্যসভার সদস্য আনন্দ শর্মা ও লোকসভার সাংসদ মণীশ তিওয়ারিও বলেছেন যে, দলের উচিত এবার এই বিষয়ে নজর দেওয়া ও দলে ভাঙনের কারণ খুঁজে বের করা। উল্লেখ্য, এই তিন নেতাই কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ জি-২৩ নেতাদের মধ্যে অন্যতম, যারা ২০২০ সালে দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়েছিলেন কংগ্রেসের সাংগঠনিক পরিবর্তন ও একজন স্থায়ী, নির্ভরশীল সভাপতির দাবি জানিয়ে।
মণীশ তিওয়ারি গতকালই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অশ্বীনী কুমারের ইস্তফাকে দুঃখজনক বলে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “অশ্বীনী কুমার ও আমি একসঙ্গে ডঃ মনমোহন সিংয়ের সরকারে কাজ করেছি। একাধিক ইস্যুতে আমাদের মধ্যে মতবিরোধ ছিল অবশ্যই। তবুও আমি বলব যে দলের যদি একজন ছোট কর্মীও ইস্তফা দেন, তবে তার কারণ খোঁজা উচিত দলের।”
তিনিও দল ছাড়তে চান নাকি, এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি কংগ্রেস ছাড়ব না। তবে কেউ যদি আমায় ধাক্কা মেরে দল থেকে বের করে দেয়, তবে তা আলাদা বিষয়।”