Congress Infighting Grows: অন্তর্দ্বন্দ্ব সামাল দিতেই হিমশিম খাচ্ছে কংগ্রেস, জি-২৩ নেতাদের পাশেই দাঁড়ালেন গুলাম

Congress Infighting Grows: কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন আরেক কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। বুধবার তিনি বলেন, "একে একে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বদের দল ছাড়ার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"

Congress Infighting Grows: অন্তর্দ্বন্দ্ব সামাল দিতেই হিমশিম খাচ্ছে কংগ্রেস, জি-২৩ নেতাদের পাশেই দাঁড়ালেন গুলাম
ফাটল বা্ড়ছে কংগ্রেসে? ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 17, 2022 | 11:07 AM

নয়া দিল্লি: একদিকে যেখানে পাঁচ রাজ্যেই বিধানসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে নেমেছে কংগ্রেস(Congres), সেখানেই দলের অন্দরে বেড়ে চলেছে ভাঙনও। একের পর এক কংগ্রেস নেতার দল ছাড়ার সিদ্ধান্তেই ফের একবার স্পটলাইটে চলে এসেছেন কংগ্রেসের জি-২৩ নেতারা (G-23 Leaders)। শীর্ষ নেতাদের দল ছাড়ার প্রসঙ্গে গান্ধী পরিবার চুপ থাকলেও জি-২৩ নেতাদের দাবি, দলের অন্দরের পরিস্থিতি ঠিক নেই। চলতি সপ্তাহেই কংগ্রেস ছেড়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অশ্বীনী কুমার(Ashwini Kumar)। এরপরই মুখ খুললেন আরেক কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। বুধবার তিনি বলেন, “একে একে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বদের দল ছাড়ার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

অশ্বীনী কুমারের ইস্তফা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে, গুলাম নবি আজাদ বলেন, “এটা তো অত্যন্ত চিন্তার বিষয় যে একের পর এক শীর্ষ নেতা  দল ছাড়ছেন। আমার মনে হয়, কুমার চতুর্থ বা পঞ্চম প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যিনি কংগ্রেস ছাড়লেন। এছাড়াও বিভিন্ন স্তরে একাধিক নেতা ও কর্মীরা দল থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন।”

গুলাম নবি আজাদ বলেন, “একসঙ্গে এত সংখ্যক নেতাদের ইস্তফায় এটাই প্রমাণিত হয় যে কংগ্রেসের উচিত এই বিষয়ে নজর দেওয়া। কেন এত সংখ্যক নেতা দল ছাড়ছেন, তার সঠিক উত্তর খুঁজে বের করা প্রয়োজন। এটা বলা উচিত নয় যে এই সমস্ত নেতারা কোনও নেতা বা দলকে দেখে কংগ্রেস ছাড়ছেন। দলের অন্দরে নিশ্চয়ই এমন কিছু হয়েছে যে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারাও অস্বস্তিতে পড়ছেন, দল ছাড়ছেন।”

গুলাম নবি আজাদ ছাড়াও রাজ্যসভার সদস্য আনন্দ শর্মা ও লোকসভার সাংসদ মণীশ তিওয়ারিও বলেছেন যে, দলের উচিত এবার এই বিষয়ে নজর দেওয়া ও দলে ভাঙনের কারণ খুঁজে বের করা। উল্লেখ্য, এই তিন নেতাই কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ জি-২৩ নেতাদের মধ্যে অন্যতম, যারা ২০২০ সালে দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়েছিলেন কংগ্রেসের সাংগঠনিক পরিবর্তন ও একজন স্থায়ী, নির্ভরশীল সভাপতির দাবি জানিয়ে।

মণীশ তিওয়ারি গতকালই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অশ্বীনী কুমারের ইস্তফাকে দুঃখজনক বলে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “অশ্বীনী কুমার ও আমি একসঙ্গে ডঃ মনমোহন সিংয়ের সরকারে কাজ করেছি। একাধিক ইস্যুতে আমাদের মধ্যে মতবিরোধ ছিল অবশ্যই। তবুও আমি বলব যে দলের যদি একজন ছোট কর্মীও ইস্তফা দেন, তবে তার কারণ খোঁজা উচিত দলের।”

তিনিও দল ছাড়তে চান নাকি, এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি কংগ্রেস ছাড়ব না। তবে কেউ যদি আমায় ধাক্কা মেরে দল থেকে বের করে দেয়, তবে তা আলাদা বিষয়।”

আরও পড়ুন: CM Channi Attacks AAP’s CM Candidate: ‘মাতাল, অশিক্ষিতকে কীভাবে দায়িত্ব দিল?’ বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী চন্নি, নিশানায় আপ নেতা!