‘চোরের দাড়ি’, নাম না করেই রাফাল চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ রাহুলের

Rafael Deal: সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুল গান্ধী একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, 'চোরের দাড়ি', হ্যাশট্যাগ রাফাল দুর্নীতি।

'চোরের দাড়ি', নাম না করেই রাফাল চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ রাহুলের
গ্রাফিক্স: অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Updated on: Jul 04, 2021 | 12:40 PM

নয়া দিল্লি: ফ্রান্সে বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু হতেই রাফালকে (Rafael) ঘিরে বদলাতে শুরু করেছে ভারতের রাজনৈতিক সমীকরণ। জোর গলায় রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগে সুর চড়াচ্ছে কংগ্রেস। আগেই যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত দাবি করেছে হাত শিবির। এ বার নাম না করে সোশ্যাল অস্ত্রে শান দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধী। অন্তত এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

View this post on Instagram

A post shared by Rahul Gandhi (@rahulgandhi)

সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুল গান্ধী একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘চোরের দাড়ি’, হ্যাশট্যাগ রাফাল দুর্নীতি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এ ক্ষেত্রে চোরের দাড়ি বলতে প্রধানমন্ত্রীর দাড়িকে বুঝিয়েছেন কংগ্রেস নেতা তথা ওয়ানাদের সাংসদ। তবে প্রধানমন্ত্রীকে এহেন বেনজির আক্রমণের পাল্টা দিতে ছাড়েননি বিজেপির আইটি প্রধান অমিত মালব্য। পাল্টা টুইটে অমিত লিখেছেন, “২০১৯ সালে আপত্তিজনক মন্তব্যের পর রাহুল গান্ধী এ বার এত নীচে নেমে গিয়েছেন। সারা ভারতের মানুষ তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেছে। ২০২৪ নির্বাচনে এই ইস্যুতে লড়াইয়ের জন্য স্বাগত।”

গত এপ্রিলে একটি ফরাসি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল, চুক্তিতে মধ্যস্থকারী একটি সংস্থাকে বড় অঙ্কের টাকা ‘উপহার’ দিয়েছে রাফাল নির্মাণকারী সংস্থা দাসো। যদিও দাসো দাবি করেছিল, ১.১ মিলিয়ন ইউরো (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯ কোটি টাকা) ভারতীয় একটি সংস্থাকে তারা দিয়েছে রাফালের রেপ্লিকা নির্মাণের জন্য। এই বিতর্ক প্রথম উস্কে দিয়েছিল ফরাসি দুর্নীতি দমন শাখা। দাসোর অডিটে এই বেনিয়ম ধরা পড়েছিল বলে দাবি করেছিল ফরাসি সংবাদ মাধ্যম। তাদের দাবি অনুযায়ী, দাসোর কাছ থেকে ‘উপহার’ হিসেবে বড় অঙ্কের টাকা পেয়েছিল অগস্টাওয়েস্টল্যান্ড চপার স্ক্যামের সঙ্গে যুক্ত সুশেন গুপ্তার সংস্থা।

এরপরই ভারত ও ফ্রান্সের এই রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগে জোর গলায় সরব হয় বিরোধীরা। তখনই প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিবৃতি দাবি করেছিল কংগ্রেস। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরেজওয়ালা তখন দাবি করেছিলেন, “ভারতীয় সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ স্বাধীন তদন্ত হওয়া কি উচিত নয়? যদি কোনও ঘুষ দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে সেটা কত তা কি জানা প্রয়োজন নয়?” এরপর জুন মাসের ১৪ তারিখ একটি বেসরকারি সংগঠনের অভিযোগের ভিত্তিতে ফ্রান্সে শুরু হয় রাফাল চুক্তির তদন্ত। জুলাই মাসের ২ তারিখ এক বিচারপতির তত্ত্বাবধানে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয় ফরাসি সরকার। তারপর থেকেই ভারতে সরব কংগ্রেস।

শনিবার কংগ্রেসের মুখ্য মুখপাত্র রণদীপ সুরজওয়ালা সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “রাফাল দুর্নীতি এ বার পরিষ্কার ভাবে প্রকাশ্যে এসেছে। ফরাসি সরকার তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর এ দিন কংগ্রেস ও রাহুল গান্ধীর দাবি সত্য প্রমাণিত হয়েছে।” তাঁর দাবি, যে হেতু এর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা জড়িয়ে আছে, তাই এই তদন্তের দায়ভার যুগ্ম সংসদীয় কমিটির হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। উল্লেখ্য, এর আগে রাফাল চুক্তি সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলায় দুর্নীতির অভিযোগ নস্যাৎ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।

আরও পড়ুন: রাফাল চুক্তির তদন্ত করুক যৌথ সংসদীয় কমিটি, দাবি কংগ্রেসের