Purbo Burdwan: ‘কী মনে হয়েছিল দোকান গিয়েছিলাম’, ভাঙা ঘরের টুলু-জলি কোটি টাকার মালিক
Purbo Burdwan Lottery: সেই রাইসমিল বন্ধ হলে, স্বামী অন্য রাইসমিলে কাজ নেন। স্ত্রী একটি ছোট্ট চায়ের দোকান চালান। তাঁদের দুই ছেলে। একজন দশম শ্রেণিতে পড়েন, অন্যজন ওয়ানে। টিকিট কাটার পরে নম্বর মিলিয়ে তারা জানতে পারেন, এক কোটি টাকা তাঁদের! যার টেবিল থেকে বিক্রি হয়, তিনিই প্রথম খেয়াল করেন।

পূর্ব বর্ধমান: ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে কী না হয়! ভাঙা ঘরে, লোকের জায়গায় যারা বাস করেন তাঁরাই আজ কোটিপতি। পূর্ব বর্ধমানের উচালনের এক ছোট্ট চায়ের দোকানের মালিক মাত্র নব্বই টাকার লটারির টিকিট কেটেছিলেন দুদিন আগে। শুক্রবার ওই টিকিটটি কাটা হয়। ডিলারের ঘর থেকে টিকিট নিয়ে বিক্রি করেন রিটেলার। এদিকে ওই টিকিট কাটেন জলি বিষয়ী। তিনি ও তাঁর স্বামী টুলু বিষয়ী বেশ কয়েক বছর আগে এখানে আসেন। ওড়িশা থেকে রাইসমিলে কাজ করতে এসেছিলেন তাঁরা।
সেই রাইসমিল বন্ধ হলে, স্বামী অন্য রাইসমিলে কাজ নেন। স্ত্রী একটি ছোট্ট চায়ের দোকান চালান। তাঁদের দুই ছেলে। একজন দশম শ্রেণিতে পড়েন, অন্যজন ওয়ানে। টিকিট কাটার পরে নম্বর মিলিয়ে তারা জানতে পারেন, এক কোটি টাকা তাঁদের! যার টেবিল থেকে বিক্রি হয়, তিনিই প্রথম খেয়াল করেন।
এই টাকা পেয়ে আনন্দের জোয়ারে ভাসছেন স্বামী, স্ত্রী। টুলু বলেন, “এখনও কিছু ভেবে ওঠেন নি। তবে একটা বাড়ি করার ইচ্ছে আছে। সেইমতন খোঁজ নিতে শুরু করেছি।”
জলি বলেন, “এভাবে ভাগ্য ফিরবে ভাবেননি। ও তো প্রায়ই লটারির টিকিট কাটে। কী মনে হতে সেদিন নিজেই নব্বই টাকা দিয়ে লটারির টিকিটটা কেটে ফেলি।”
