‘বিজেপি বিতাড়িত’ সিধুর ‘ক্যাপ্টেন্সি’ মানবেন না মুখ্যমন্ত্রী-পত্নীও, সাংসদদের আজই দিল্লিতে তলব
Punjab Congress Infighting: দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি থেকে বিতাড়িত সিধুকে দলের প্রধান নেতৃত্ব হিসাবে দেখতে চান না পুরনো দলীয় কর্মীরা। উল্টো দিকেই, সিধু ঘনিষ্ঠরা নির্বাচনে জয়ী হলে অমরিন্দর সিংকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান না।
চণ্ডীগঢ়: সিধুর “প্রোমোশনে” মুখ্যমন্ত্রী নিমরাজি হলেও মানতে রাজি নন তাঁর স্ত্রী। সেই কারণেই আজ পঞ্জাব কংগ্রেসের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন ক্যাপ্টেন-পত্নী প্রীণীত কৌর। সূত্র মতে, নভজ্যোত সিং সিধুকে পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান বানানোর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতেই এই বৈঠক।
জানা গিয়েছে, এ দিন দিল্লিতে সকল সাংসদের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যসভার সদস্য প্রতাপ সিং বাজওয়া। তাঁর মাধ্যমেই দলনেত্রীর কাছে সিধুকে পঞ্জাব প্রধান হিসাবে নিয়োগ না করার আবেদন জানানো হবে। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং ও পঞ্জাবের স্পিকার কেপি সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি।
চলতি সপ্তাহেই সিধুর নাম পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান হিসাবে উঠে আসার পরই বিরোধিতা করেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। দুই পক্ষই নিজেদের ঘনিষ্ঠ সাংসদ-বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেন। পরেরদিনই দিল্লি ছুটে যান নভজ্যোত সিং সিধু। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে নিজের অভিযোগ জানান অমরিন্দর সিং।
এই পরিস্থিতিতেই অবশেষে শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে গতকাল সিধুকে পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান হিসাবে মেনে নিতে রাজি হন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর। তবে বেশ কয়েকটি শর্ত রাখেন তিনি। অমরিন্দর সিংয়ের দাবি, সিধুকে কংগ্রেস প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হলেও নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেই তাঁর পরামর্শ নিতে হবে। সিধুর অধীনে তিনজন ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্টের নিয়োগও করবেন তিনি। সূত্র মতে, এদের মধ্যে একজন হিন্দু ও অপরজন দলিত নেতা হবেন।
সূত্র অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং জানিয়েছেন, যতক্ষণ না নভজ্যোত সিং সিধু জনসমক্ষে ক্ষমা চাইছেন, ততক্ষণ তিনি দেখা করবেন না। একই সঙ্গে কেবল ক্ষমতায় বসলেই হবে না। আসন্ন নির্বাচনে নভজ্যোত সিং সিধুকে দলনেতা হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি থেকে বিতাড়িত সিধুকে দলের প্রধান নেতৃত্ব হিসাবে দেখতে চান না পুরনো দলীয় কর্মীরা। উল্টো দিকেই, সিধু ঘনিষ্ঠরা নির্বাচনে জয়ী হলে অমরিন্দর সিংকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান না। নিজেদের ক্ষোভের কথা তারা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছেও জানিয়েছিলেন, কিন্তু আখেরে লাভ হয়নি কিছুই। দিল্লি থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পঞ্জাবে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন অমরিন্দর সিংই।
২০১৭ সালে নির্বাচনের ঠিক আগে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে প্রবেশ করার পর থেকেই সিধু-অমরিন্দর দ্বৈরথ শুরু হয়েছে, যা এখনও জারি রয়েছে। আরও পড়ুন: ১৬ দেশে অনুমোদিত কোভিশিল্ড, পুনাওয়ালা বললেন…