নয়া দিল্লি: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা (COVID-19) সংক্রমিত হয়েছেন ৪২ হাজার ৬৪০ জন। এই নিয়ে এখনও অবধি পজিটিভ কেসের সংখ্যা ২,৯৯,৭৭,৮৬১। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৬৭ জনের। এই নিয়ে সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩,৮৯,৩০২। মঙ্গলবার এমনই তথ্য তুলে ধরেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এই নিয়ে ৯১ দিন পর দৈনিক সংক্রমণ ৫০ হাজারের কম হল। এখন সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৭ লক্ষেরও কম। ৬,৬২,৫২১ জন।
রাজ্যে কমে আসছে করোনার সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে কমছে মৃত্যুও। অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় সবচেয়ে খারাপ পর্ব পেরিয়ে ক্রমেই সুস্থতার পথে এগোচ্ছে বাংলা। একাধিক জেলায় সংক্রমণের হারও নিম্নমুখী। মঙ্গলবার রাজ্যের ১২ টি জেলায় করোনায় কোনও মৃত্যু হয়নি। সব জেলায় কার্যত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমছে দ্রুতগতিতে। মঙ্গলবারের করোনা বুলেটিনে দেখা যাচ্ছে, দৈনিক আক্রান্ত ২ হাজারের নীচে। যদিও গতকালকের তুলনায় আজ মৃত্যু বেড়েছে। যত সংখ্যক টেস্ট হয়েছে তার মধ্যে পজিটিভিট ধরা পড়েছেন মাত্র ৩.৬১ শতাংশ মানুষ।
সবিস্তারে পড়ুন: রাজ্যে পজিটিভিটির হার নামল প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশে, লাফিয়ে মৃত্যু বাড়ল ৩ জেলায়
দুটি পর্বের ট্রায়াল রিপোর্ট আগেই পাওয়া গিয়েছিল। এ বার সামনে এল তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল রিপোর্ট। ২৫,৮০০ জনকে নিয়ে এই ট্রায়াল হয়। আর তাতে দেখা গিয়েছে করোনার বিরুদ্ধে ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকর কোভ্যাকসিন (covaxin)। মঙ্গলবার ডিজিসিএই -এর বিশেষজ্ঞ কমিটিকে খতিয়ে দেখার জন্য ওই রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয়েছে।
বিস্তারিত পড়ুন: কোভ্যাকসিনের কার্যকারিতার হার কত? প্রকাশ্যে এল তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল রিপোর্ট
করোনার উপর শ্বেতপত্র তৈরি করেছে কংগ্রেস। মঙ্গলবার তা সামনে আনলেন দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি জানান, “অনেক গবেষণা করে এই শ্বেতপত্র তৈরি করা হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য সরকারের দোষ ধরা নয়। আমাদের উদ্দেশ্য সংক্রমণের তৃতীয় তরঙ্গ নিয়ে সরকারকে সতর্ক করা ও সাহায্য করা।” মূলত চারটি বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে সেখানে। ১. তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য সরকারের উচিৎ অক্সিজেন, হাসপাতাল, ক্রিটিক্যাল ইনফ্রাস্ট্রাকচর, ওষুধের আগাম ব্যবস্থা রাখা। ২. কোভিড শুধু শরীরেই বাসা বাঁধে না। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রকেও কাবু করে। ৩. গরীবদের ঘরে সরাসরি সাহায্য পৌঁছনোর ব্যবস্থা করুক সরকার। ৪. একটি কোভিড ফান্ড তৈরি করা হোক। এই ফান্ডের মাধ্যমে করোনায় মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা হোক।
The aim of this white paper on COVID19 is not finger-pointing at the government but to help the nation prepare for the third wave of infection. The whole country knows that a third wave will strike: Congress leader Rahul Gandhi pic.twitter.com/5wgsBpj3jk
— ANI (@ANI) June 22, 2021
কোনও ভ্যাকসিনের সামগ্রিক কার্যকরিতার হার কত হবে, তা নির্ভর করে তিনটি ট্রায়ালের ওপর। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার কাছে এতদিন কোভ্য়াক্সিনের (Covaxin) প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়াল রিপোর্ট ছিল। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই আপদকালীন অনুমোদন পেয়েছিল ভারত বায়োটেকের কোভ্য়াক্সিন। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, সরকারি সূত্র অনুযায়ী, ডিসিজিআইর কাছে কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল রিপোর্টও জমা পড়েছে।
সবিস্তারে পড়ুন: লিটমাস টেস্টে কোভ্যাক্সিন, জমা পড়ল ফেজ-৩ ট্রায়াল রিপোর্ট