নয়া দিল্লি : হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা ঘিরে সম্প্রতি উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে। এবার ‘অবৈধ কাঠামো’ ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া নিয়ে আবার উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হল জাহাঙ্গিরপুরীতে। আগেই পুলিশ মোতায়েন ছিল এলাকায় শান্তি বজায় রাখা নিশ্চিত করার জন্য। এই পরিস্থিতিতে আজ দেখা যায়, সিপিএম নেতা বৃন্দা কারাট বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বুলডোজ়ারের সামনে।
এদিন সকালে জাহাঙ্গিরপুরীতে হাজির হয় নয়টি বুলডোজ়ার। নর্থ দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তরফে এই বুল ডোজ়ার পাঠানো হয়। জাহাঙ্গিরপুরীর ‘অবৈধ দখলদারি’ সরিয়ে ফেলার উদ্দেশ্যেই তাদের পাঠানো হয়। যাতে গোলমাল পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় তার জন্য ৪০০ পুলিশও মোতায়েন করা ছিল এলাকায়। এর পাশাপাশি বুলডোজ়ারের সঙ্গে আরও ১০০ পুলিশ মসজিদ এবং দোকানপাট ঘিরে ছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, আজকের এই অভিযানের বিষয়ে তাঁদের আগে থেকে কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি দিল্লির মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তরফে।
এই অভিযানের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সঙ্গে সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের মুখ্য বিচারপতি এনভি রামানা চালিত বেঞ্চ এই আবেদন শুনে এই কার্যকলাপ আগামিকালের শুনানি অবধি স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু তারপরও তারা ভাঙচুর বন্ধ করেনি বলে অভিযোগ ওঠে। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দোকান, মসজিদের দেওয়াল ও দরজা ভেঙে দেওয়া হয়। তারপর বেলা ১২ টায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কপি হাতে ঘটনাস্থলে হাজির হন সিপিএম নেতা বৃন্দা কারাট। তিনি বুলডোজ়ারের সামনে দাঁড়িয়ে ভাঙচুর বন্ধ করার জন্য চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত বুলডোজ়ারের এই কাজ বন্ধ করা হয়। আগামিকাল এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
আরও পড়ুন : Bulli Bai App : ‘অপরিণত বুদ্ধিকে কাজে লাগানো হয়েছে,’ ‘বুল্লি বাই’ অ্যাপ মামলায় জামিন তিন অভিযুক্তের
আরও পড়ুন : Kumar Vishvas : কেজরীবালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্যের জের, প্রাক্তন আপ নেতার ঘরে হানা পঞ্জাব পুলিশের