Supreme Court: তারিখ পে তারিখ….! শুনানি নিয়ে টালবাহানা নয়, ‘পুরনো রীতি ফিরিয়ে আনার’ নির্দেশ শীর্ষ আদালতের
Supreme Court on Speedy Trial: বৃহস্পতিবার বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এই নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। কেন শুনানি নিয়ে এত 'টালবাহানা' সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতিরা। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, 'দিন-প্রতিদিন নিয়ম মাফিক শুনানি বিচারপ্রক্রিয়ার একটা অন্যতম অংশ।

নয়াদিল্লি: ‘তারিখ পে তারিখ’ চলবে না, নিয়ম মাফিক করতে হবে শুনানি। তিন দশক আগেও বিচারপতিরা যে অভ্যাস নিজেদের মধ্যে তৈরি করেছিলেন, তা সম্পূর্ণ ভাবে বিলুপ্ত হয়ে গেল কেন? প্রশ্ন তুলল দেশের শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি, দেশের সমস্ত হাইকোর্টগুলিকে প্রতিদিন শুনানি ও দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শেষের জন্য নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এই নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। কেন শুনানি নিয়ে এত ‘টালবাহানা’ সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতিরা। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘দিন-প্রতিদিন নিয়ম মাফিক শুনানি বিচারপ্রক্রিয়ার একটা অন্যতম অংশ। বিশেষ করে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বা সংবেদনশীল মামলার ক্ষেত্রে নিয়ম মাফিক শুনানি অত্য়াধিক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যে অভ্যাস তিন দশক আগেও ছিল, তা আজ সম্পূর্ণ ভাবে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। আমাদের বিশ্বাস এই রীতিকে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।’
বিচারপতিদের সংযোজন, ‘তবে এই অভ্য়াস ফিরিয়ে আনার জন্য বর্তমান সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পরিস্থিতিটাও বোঝা প্রয়োজন। এমনকি, কীভাবে পুলিশ তদন্ত করে সেটাও বোঝা প্রয়োজন।’ এরপরেই এই দিন-প্রতিদিন শুনানি করাতে দেশের হাইকোর্টগুলিকে একটি কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছে।
চলতি বছরেরই একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের প্রতিটি আদালত অর্থাৎ নিম্ন আদালত থেকে শীর্ষ আদালত পর্যন্ত, মোট বিচারাধীন মামলার সংখ্য়া ৪.৬ কোটি। যার মধ্য়ে ৬৩ লক্ষ মামলা পড়ে রয়েছে নিম্ন আদালতে। হাইকোর্টে পড়ে রয়েছে ৬৩ লক্ষ বিচারাধীন মামলা। সুপ্রিম কোর্টে পড়ে রয়েছে ৮৬ হাজারের বেশি মামলা। কিন্তু এই মামলাগুলির শুনানি নিয়ে কেন এত টালবাহানা? বৃহস্পতিবারের আদালত চত্বরে উঠে এল সেই প্রসঙ্গও। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘সময়ের অভাব, মামলা চালাতে পর্যাপ্ত সম্পদের অভাব অর্থাৎ বিচারক, বিচারপতি, তদন্তের সাক্ষ্য়প্রমাণ নিয়ে চলা টালবাহানার জেরে বেশির ভাগ মামলাই এখনও বিচারাধীন পড়ে রয়েছে।’
