Kejriwal: ‘দিল্লির সরকার আজ পক্ষাঘাতগ্রস্ত’, নীতি আয়োগের বৈঠকে নেই কেজরীও, চিঠি মোদীকে

NITI Aayog Meeting: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মানের পর, অরবিন্দ কেজরীবালও জানালেন, শনিবার নয়া দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে কারণও জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।

Kejriwal: 'দিল্লির সরকার আজ পক্ষাঘাতগ্রস্ত', নীতি আয়োগের বৈঠকে নেই কেজরীও, চিঠি মোদীকে
প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি কেজরীবালের,
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 26, 2023 | 6:13 PM

নয়া দিল্লি: আগেই জানিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ২৭ মে, শনিবার নয়া দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না তিনি। বাংলার কোনও প্রতিনিধিও এই বৈঠকে থাকবেন না বলে স্পষ্ট করা হয়েছে শুক্রবার। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়েছেন তিনিও যোগ দেবেন না এই বৈঠকে। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরীবালও। শুক্রবার (২৬ মে), প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি চিঠি লিখে কেজরীবাল জানিয়ে দিয়েছেন, নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলের অষ্টম বৈঠকে যোগ দেবেন না তিনি। দিল্লির আমলাদের নিয়োগ এবং বদলি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রের জারি করা অধ্যাদেশের প্রতিবাদে এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, নীতি আয়োগের উদ্দেশ্য হল ভারতের জন্য একটি রূপরেখা তৈরি করা এবং সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার প্রসার ঘটানো। কিন্তু, মোদী সরকারের আমলে গত কয়েক বছরে গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ নেমে এসেছে।

হিন্দিতে লেখা চিঠিতে চিঠিতে কেজরীবাল বলেছেন, “গত কয়েক বছরে গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ নেমে এসেছে। অবিজেপি সরকারগুলিকে ফেলে দেওয়া হয়েছে, ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং কাজ করতে দেওয়া হয়নি। এটা ভারতের রূপরেখা নয় এবং সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাও নয়। গত কয়েক বছর ধরে গোটা দেশব্যাপী একটা বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে, কোনও রাজ্যে যদি মানুষ অবিজেপি দলের সরকার গঠন করে, তাহলে তা সহ্য করা হবে না।” একই চিঠিতে তিনি দিল্লির পরিষেবা বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা অধ্যাদেশের বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, “আট বছর লড়াই করে দিল্লির জনতা সুপ্রিম কোর্টে লড়াই জিতেছিল। দিল্লির মানুষ ন্যায়বিচার পেয়েছিল। কিন্তু, আজ যদি দিল্লি সরকারের কোনও অফিসার কাজ না করেন, মানুষের নির্বাচিত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না।”

এই অবস্থায় কোনও সরকার কীভাবে কাজ করবে? প্রশ্ন তুলেছেন কেজরীবাল। এই অধ্যাদেশ জারি করে দিল্লির সরকারকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত করে দিয়েছে কেন্দ্র, অভিযোগ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেছেন, “মানুষ প্রশ্ন করছে, যদি প্রধানমন্ত্রীই সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মান্য না করেন, তাহলে কেন সেখানে মানুষ বিচার চাইতে যাবে?” অবিজেপি সরকারগুলিকে কাজ করতে দেওয়ার এবং সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়কে মান্য করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে অনুরোধ করেছেন আপ প্রধান।

শুক্রবার সকালেই পঞ্জাব সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের রুরাল ডেভেলপমেন্ট ফাণ্ডের ৩,৬০০ কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই কেন্দ্রে বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ জানিয়ে, শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান। পঞ্জাব সরকারের মুখপাত্র বলেন, “পঞ্জাবের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে কেন্দ্র। তাই তার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী নীতি আয়োগের বৈঠকে যাবেন না।” তারও আগে , বাংলার সরকারও জানিয়ে দিয়েছিল, পূর্ব নির্ধারিত রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের বৈঠকে যাবেন না। পরিবর্তে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তবে শুক্রবার রাজ্য জানিয়েছে, বাংলার কোনও প্রতিনিধিই নীতি আয়োগের বৈঠকে থাকবেন না।