Delhi Murder Case: ফের শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া, স্বামীকে কেটে টুকরো করে ফ্রিজে জমিয়ে রাখতেন স্ত্রী-পুত্র, প্রমাণ লোপাট হত রাতের অন্ধকারে
Delhi Murder Case: পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত পুনম ও তাঁর ছেলে দীপক গত জুন মাসে অঞ্জন দাস নামক ওই ব্যক্তিকে খুন করেন। তাদের সন্দেহ ছিল, ওই ব্যক্তির অবৈধ সম্পর্ক ছিল। স্লিপিং পিল খাইয়ে প্রথমে ওই ব্যক্তিকে অচেতন করেন মা-ছেলে। এরপরে খুন করেন।
নয়া দিল্লি: দিল্লির শ্রদ্ধা কাণ্ডের স্মৃতি এখনও তরতাজা সকলের মনে। লিভ ইন সঙ্গী শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে তাঁর দেহের ৩৫ টুকরো করে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ফেলে দিয়ে এসেছিল প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। পুলিশ এখনও অবধি শ্রদ্ধার কাটা মুণ্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে ফের একবার শ্রদ্ধা কাণ্ডেরই ছায়া দেখা গেল দিল্লিতেই। এবার দিল্লির পাণ্ডব নগর থেকে এক মহিলা ও তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করা হল খুনের অভিযোগে। ওই মহিলা তাঁর স্বামীকে খুন করে দেহের টুকরো টুকরো করে ফেলে দেন। এই কাজে সাহায্য করে তাঁর ছেলে। দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফে এই রোমহর্ষক খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আনা হয়।
জানা গিয়েছে, গত জুন মাসে দিল্লির পাণ্ডবনগর থেকে পুলিশ দেহের কয়েকটি টুকরো উদ্ধার করে। কিন্তু দেহের টুকরোগুলি সম্পূর্ণ পচে-গলে যাওয়ায়, তা চিহ্নিতকরণ কার্যত অসম্ভব হয়ে যায়। শ্রদ্ধা ওয়াকারের খুনের ঘটনা সামনে আসার পরই পুলিশ অনুমান করে এই দেহের টুকরো শ্রদ্ধার। কিন্তু পরে তদন্তে জানা যায়, দেহটি অঞ্জন দাস নামক এক ব্যক্তির। তিনি দিল্লির পাণ্ডব নগরের বাসিন্দা।
A woman along with her son arrested by Crime Branch in Delhi’s Pandav Nagar for murdering her husband. They chopped off body in several pieces,kept in refrigerator & used to dispose of pieces in nearby ground: Delhi Police Crime Branch
(CCTV visuals confirmed by police) pic.twitter.com/QD3o5RwF8X
— ANI (@ANI) November 28, 2022
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত পুনম ও তাঁর ছেলে দীপক গত জুন মাসে অঞ্জন দাস নামক ওই ব্যক্তিকে খুন করেন। তাদের সন্দেহ ছিল, ওই ব্যক্তির অবৈধ সম্পর্ক ছিল। স্লিপিং পিল খাইয়ে প্রথমে ওই ব্যক্তিকে অচেতন করেন মা-ছেলে। এরপরে খুন করেন। দেহ লোপাট করতে টুকরো টুকরো করে সেই অংশগুলি ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখেন এবং রাতের অন্ধকারে পাণ্ডবনগর ও তার আশেপাশের অঞ্চলে সেই দেহ ফেলে আসেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্বামীকে খুন করে ২২ টুকরো করেছিলেন ওই মহিলা ও তাঁর ছেলে। এরপর সেই দেহ ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখেন। সুযোগ পেলেই রাতের অন্ধকারে সেই দেহের টুকরো নিয়ে বের হতেন মা-ছেলে। এলাকার আশেপাশে সেই দেহের টুকরো ফেলে আসতেন।
ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে, যেখানে দেখা গিয়েছো গভীর রাতে হাতে প্যাকেট নিয়ে কোথাও হেঁটে যাচ্ছেন। তাঁর পিছন পিছনই আসছিলেন যুবকের মা পুনম। পুলিশের অনুমান, রাতে দেহের টুকরোগুলি ফেলতে যেতেন মা-ছেলে। অন্যদিকে, সকালের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তারা জায়গা চিহ্নিতকরণ করছেন।