নয়া দিল্লি : একদিকে বাড়ছে ওমিক্রম আক্রান্তের সংখ্যা। অন্যদিকে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। শনিবার দিল্লিতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ২৩৯ জন। শুক্রবারের তুলনায় একধাক্কায় ৩৮ শতাংশ বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ হল দৈনিক সংক্রমণ। দিল্লিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৫ হাজার ১০৪।
শুক্রবার দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ১৮০। সেটাই শনিবার বেড়ে হয়েছে ২৩৯। গত ১৩ জুনের পর এত বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়নি করোনায়। জুনের ১৩ তারিখে আক্রান্ত হয়েছিল ২৫৫ জন। সেই সময় পজিটিভিটি রেট ছিল ০.৩৫ শতাংশ।
ওমিক্রন আতঙ্কে কার্যত ত্রস্ত রাজধানী দিল্লি। দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ জেলাশাসকদের নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল, শহরে যেন ক্রিসমাস এবং নববর্ষের উদযাপনে কোনও ধরনের জমায়েত যাতে না হয়। জাতীয় রাজধানীতে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা শনিবার সতর্কতার সঙ্গে ক্রিসমাস উদযাপন করেছে। বিভিন্ন চার্চগুলিতে তুলনামূলকভাবে কম লোকজন দেখা গিয়েছে।
শুধু দিল্লি নয়, মুম্বই শহরেই এক ধাক্কায় ১০ শতাংশ বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে মনে করা হলে, ফের একবার গোটা মহারাষ্ট্রে লকডাউনও জারি করা হতে পারে। মহারাষ্ট্রবাসীকে এমনটাই জানিয়েছেন সেখানকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে।
আরও পড়ুন : Good Governance Index: সুশাসনের সূচকে শীর্ষে গুজরাট, মহারাষ্ট্র, গোয়া; ভাল কাজ যোগীরাজ্যেও
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, যে রাজ্যগুলিতে করোনা ও ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং টিকাকরণের গতি ধীর, এমন ১০টি রাজ্যে প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী, যে রাজ্যগুলিতে বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে, সেগুলি হল কেরল, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশ, মিজোরাম, কর্নাটক, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পঞ্জাব। এর মধ্য়ে মহারাষ্ট্র, কেরল, তামিলনাড়ু, কর্নাটকের মতো রাজ্য়গুলিতে ক্রমশ ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও পড়ুন : Myanmar military: মহিলা-শিশু সহ অন্তত ৩০ জনের দগ্ধ দেহ উদ্ধার, ‘জঙ্গি-হত্যা’ বলছে মায়ানমার সেনা