Sunanda Pushkar Case: সুনন্দা পুষ্কর হত্যা মামলায় ফের অস্বস্তিতে শশী থারুর, নোটিস পাঠালো হাইকোর্ট
Sunanda Pushkar death case: সুনন্দা পুষ্কর মৃত্যু মামলায় ফের অস্বস্তিতে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। এবার নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করল দিল্লি পুলিশ।
নয়া দিল্লি: সুনন্দা পুষ্কর মৃত্যু মামলায় ফের অস্বস্তিতে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। দিল্লি পুলিশ নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছে দিল্লি হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার, হাইকোর্টের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে নোটিস পাঠানো হল শশী থারুরকে। ২০২১ সালের অগস্টে নিম্ন আদালত সুনন্দা পুষ্কর মৃত্যু মামলায় মুক্তি দিয়েছিল শশী থারুরকে। কিন্তু, থারুর সেই আবেদনের প্রতিলিপি পাননি বলে জানিয়েছে। এর মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে চর্চা হওয়ায়, ‘মিডিয়া ট্রায়ালের’ বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন থারুর। এরপরই দিল্লি হাইকোর্ট এই নোটিস পাঠালো।
এদিন আদালতে, থারুরের পক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, শশী থারুরকে দিল্লি পুলিশ তাদের আবেদনের প্রতিলিপি পাঠায়নি। ইচ্ছা করে ভুল ইমেইল অ্যাড্রেসে পাঠানো হয়েছে আবেদনের প্রতিলিপিটি। এরপরই, বিচারপতি ডিকে শর্মা দিল্লি পুলিশের কৌসুঁলিকে নির্দেশ দেন, শশী থারুরের আইনজীবীকে তাদের আবেদনের একটি প্রতিলিপি দিতে। তিনি আরও বলেন, এই মামলা সম্পর্কিত কোনও নথি বা নথির প্রতিলিপি মামলায় সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিবর্গের বাইরে আর কাউকে দেওয়া যাবে না। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে, আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি।
এর আগে নিম্ন আদালতে ১৫ মাস ধরে এই মামলার শুনানি চলেছিল। শেষে যাবতীয় অভিযোগ থেকে কংগ্রেস সাংসদকে মুক্তি দিয়েছিল আদালত। রায় ঘোষণার সময় নিম্ন আদালতের বিচারক বলেছিলেন, শশী থারুরের আচরণই যে সুনন্দা পুষ্করকে আতহত্যা করায় প্ররোচিত করেছিল, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য-প্রমাণ নেই। থারুর নিজেও শুনানির সময় বরাবর জানিয়েছেন, এই মামলার সঙ্গে তাঁর যোদ রয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ নেই।
২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি নয়া দিল্লির এক অভিজাত হোটেলের ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল সুনন্দা পুষ্করকে। সেই সময় তাঁর সরকারি বাংলোতে মেরামতির কাজ চলছিল বলে, সুনন্দা পুষ্করকে নিয়ে দিল্লির ওই হেটেলে থাকছিলেন শশী থারুর। সুনন্দার মৃত্যুর পর, শশী থারুরের বিরুদ্ধে, তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। হত্যার মামলা দায়ের করেই এর তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। আর, শশী থারুরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া এবং স্বামী হিসেবে অত্যাচার করার অভিযোগে মামলা করা হয়েছিল।